আফগানিস্তানের চাই ২৬৬ রান

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৬

playঢাকা জার্নাল: গত বছরের নভেম্বরে শেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর কেটে গেছে প্রায় ১০ মাস। ৫০ ওভারের ম্যাচে আর ফেরা হয়নি টাইগারদের। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে আজ (রবিবার) আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডেতে ফেরা বাংলাদেশের সঙ্গে ফিরেছিলেন তামিম ইকবাল-মাহমুদউল্লাহও। মাঝে এতটা সময় পেরিয়ে গেলেও তাদের পারফরম্যান্সে কোনও বদল নেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ করেছিলেন যেখানে, সেখান থেকেই যেন করলেন শুরু। এই দুই ব্যাটসম্যান যে আবারও পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির দেখা। তাদের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে আফগানদের বিপক্ষে ৫০ ওভার শেষে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ করেছে ২৬৫ রান।
শুরুটা করেছিলেন তামিম। যদিও তার আগেই আফগানিস্তান চেপে ধরেছিল টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা স্বাগতিকদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত কিছুদিন খুবই বাজে সময় পার করা সৌম্য সরকার আবারও ব্যর্থ হয়ে ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। রানের খাতার খোলার আগেই দৌলত জারদানের বলে আউট হলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। অবশ্য চাপটা চেপে ধরতে দেননি তামিম-ইমরুল। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৮৩ রান। সাবলীল ব্যাটিংয়ে তারা বাড়িয়ে নেন স্কোর। কিন্তু ইমরুলের একটি ভুলে ভাঙে তাদের জুটি। দারুণ শুরুর পরও ইনিংসটা বেশি দূর এগিয়ে না নেওয়া আক্ষেপে অবশ্যই পুড়ছেন তিনি। ব্যক্তিগত ৩৭ রানে বোল্ড হয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবীর বলে। ৭৫ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ৬ বাউন্ডারিতে।
তিনি না পারলেও তার ওপেনিং সঙ্গী তামিম কিন্তু ভুল করেননি হাফসেঞ্চুরি পূরণ করতে। এমনকি সেঞ্চুরির পথেও হাঁটছিলেন তিনি। কিন্তু মিরওয়াইস আশরাফের একটি বলে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় বাংলাদেশি ওপেনারের। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও যে আউট হয়ে গেছেন তিনি ৮০ রানে। নাভিদ-উল-হকের হাতে ধরা পড়ার আগে ৯৮ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ৯ বাউন্ডারিতে। এর আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম হাফসেঞ্চুরির দেখা পান তামিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের সবশেষ ম্যাচেও ফিফটি করেছিলেন তিনি, প্রায় ১০ মাস পর ওয়ানডেতে ফিরে আবারও করেন বাজিমাত।

আউট হওয়ার আগে তামিম তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭৯ রান যোগ করেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। সমান তালে লড়েছেন তারা। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনীতে মাহমুদও পূরণ করেন তার হাফসেঞ্চুরি। তার পরও আফগান বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলছিলেন মাহমুদ। যদিও সেই দাপট বেশিক্ষণ টিকিয়ে রাখতে পারেননি তিনি। ৬২ রান করে এই ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন মোহাম্মদ নবীর বলে। সুইপ শট খেলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন মিরওয়াইস আশরাফের হাতে। ৭৪ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ৫ চার ২ ছক্কায়। মাহমুদ ফেরার পর পরই মুশফিকুর রহিম আউট হলে আবার চাপে পড়ে বাংলাদেশ। রশিদ খানের গুগলি বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি ৬ রানে।
অন্য প্রান্তে অবশ্য লড়ে গেছেন সাকিব আল হাসান। মাহমুদের আউটের পর তিনি ধরেন দলের হাল। দারুণ ব্যাটিংয়ে দলের স্কোর বাড়িয়ে নিলেও খানিকটা হলেও আক্ষেপে পুড়ছেন এই অলরাউন্ডার। মাত্র ২ রানের জন্য যে হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। ৪০ বলে ৩ চারে ৪৮ রানে আউট হয়েছেন তিনি দৌলতের বলে। তার আগেই অবশ্য প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাব্বির রহমান। ২ রান করে রশিদের বলে আউট হলেও টিভি রিপ্লেতে দেখা গেলে এলবিডাব্লিউ ছিলেন না তিনি। এর পর আর কোনও ব্যাটসম্যানই করতে পারেননি কিছু। শেষ পর্যন্ত তো ৫০ ওভারে অলআউট হয় স্বাগতিকরা, তার আগে স্কোরে জমা করে ২৬৫ রান।

ঢাকা জার্নাল,সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.