একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’ কর্মীদের বিক্ষোভ, দুজন লাঞ্ছিত

সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬

ebek-2ঢাকা জার্নাল : সরকারের সদ্য সমাপ্ত ’একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে’র কর্মীদের আইনানুযায়ী পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থানান্তর ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদারের ইস্কাটনের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে সোমবার দুপুরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় প্রকল্পের মাঠ সহকারীদের একাংশের হাতে ব্যাংকটির নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের দুজন শাখা ব্যবস্থাপক লাঞ্ছিত হয়েছে। তাদের আহত অবস্থায় মগবাজার এলাকার আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

সরকারের অত্যন্ত সফল ওই প্রকল্পটির সুবিধাভোগীদের অর্থ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক স্থাপন করা হয়। গত জুলাই মাস থেকে ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সমাপ্ত প্রকল্পটি অকার্যকর রয়েছে। তবে এটির মেয়াদ আবারো বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে।

ব্যাংকের আইন অনুযায়ী, প্রকল্পের সকল দায় ও দেনা, সম্পত্তি এবং জনবলকে ব্যাংকে আত্মীকরণ করার বিধান রয়েছে।

বর্তমানে প্রকল্পের অধীনে প্রত্যেক উপজেলায় একজন শাখা ব্যবস্থাপক, একাধিক ফিল্ড সুপারভাইজার, কম্পিউটার অপারেটর ও মাঠ সহকারী কর্মরত রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ সেলিম জানান, ব্যাংকের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদার সোমবার তার কার্যালয়ে প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের শাখা ব্যবস্থাপক ও কম্পিউটার অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক ডাকেন। তাদের এই বৈঠকের খবরে গোটা দেশেই খবর রটে যায়, ওই দুই ক্যাটাগরির কর্মীদের ছাড়া অন্যদের ব্যাংকে স্থায়ী করা হবে না।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সোমবার সকাল থেকেই গোটা দেশের ফিল্ড সুপারভাইজার ও মাঠ সহকারীরা ঢাকার ইস্কাটনে প্রকল্প ও ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ব্যাংকের কার্যালয়ের সামনে তাদের চাকরি তাৎক্ষনিকভাবে স্থায়ীকরণের ঘোষণা দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও শ্লোগান দিতে থাকেন।

খবর পেয়ে শাখা ব্যবস্থাপকদের কেউ কেউ এগিয়ে আসলে আন্দোলনকারীরা দুজন শাখা ব্যবস্থাপককে মারধর শুরু করে। এতে তারা আহত হলে অন্যরা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার ও হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ খবর শুনে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদার পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করেন। পরে আন্দোলনকারীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন ও মানববন্ধন করেন।

এ ব্যাপারে মিহির কান্তি মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকা জার্নাল, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.