নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ: কানাডিয়ান মন্ত্রী

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৬

marryঢাকা জার্নাল : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী মেরি ক্লড বিবেউ।

কানাডার এই মন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় তার (শেখ হাসিনা) উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন।

গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কানাডার মন্ট্রিলে ‘ফিফথ গ্লোবাল ফান্ড রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেনন্স-এ সঞ্চালকের দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বক্তব্য প্রদানে আহবানের সময় মেরি-ক্লড বিবেউ শেখ হাসিনা সম্পর্কে এমন প্রশংসা করেন।

কানাডীয় মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মতো কিছু নেই, যিনি ‘নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ।’

মন্ট্রিলের হায়াত রিজেন্সিতে শুক্রবার দুই দিনব্যাপী এই ফিফথ গ্লোবাল ফান্ড রিপ্লেনিশমেন্ট সম্মেলন শুরু হয়েছে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ছাড়াও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সল, টোগোর প্রেসিডেন্ট ফউরি জিনাসিব, গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক মার্ক আর ডাইবুল ও আন্তর্জাতিক সংস্থা লা ফ্রাঙ্কোফোনির মহাসচিব মিসাইল জেন বক্তব্য রাখেন।

নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে সংযুক্তিতে তার সরকারের অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা তিনটি বিশেষ দিকের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, প্রথমত নারীর ক্ষমতায়নে তার সরকার মেয়েদের শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, যা নারীর ক্ষমতায়নে খুবই ক্ষমতাশালী একটি উপাদান। আমরা দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছি। তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এসব পদক্ষেপ শুধু মেয়েদের স্কুলগামী বা তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে উন্নয়নই করছে না, এতে বাল্যবিয়ে, মাতৃত্ব ও শিশু মৃত্যুর হারও কমাচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়ত সহিংসতা নারীর দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এ ক্ষেত্রে নারীর প্রতি যে কোনো সন্ত্রাস ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, তৃতীয়ত দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জন্য আমরা সারাদেশে ১৬ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন হেলথ সেন্টার স্থাপন করেছি। এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে গুণগতমানের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

‘কমিউনিটি ক্লিনিকে বেশির ভাগ কর্মীই নারী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে ৩০ প্রকারের ওষুধ সরবরাহ করা হয়।

ঢাকা জার্নাল, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.