ট্রাইব্যুনাল থাকছে সুপ্রিম কোর্ট আঙ্গিনাতেই!

সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৬

anisul-haque

 

ঢাকা জার্নাল:  আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। আর সে কারণেই জনগণের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট আঙ্গিনাতেই থাকছে ট্রাইব্যুনাল। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলবেই। সেইসঙ্গে যে জায়গায় বিচার শুরু হয়েছে সেটাতো ইতিহাসের একটা অংশ হয়ে গেছে। জনগণ যা চাইবে তাই হবে।

বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডির ওমেন্স ভলান্টিয়ারি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউভিএ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এর আগে অনুষ্ঠানে মুনতাসির মামুন, শহীদ পরিবারের সদস্য এবং ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সদস্যরা এটি জনগণের দাবি হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁরা যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন।

মুনতাসির মামুন বলেন, আমরা আন্দোলন করি, ফল যায় সরকারের ঘরে। আমাদের ঘরে কিছুই আসে না। সুপ্রিম কোর্ট ইঙ্গনা থেকে ট্রাইবুনাল সরিয়ে না দেওয়ার দাবি করে মুনতাসির মামুন আন্দোলন করার ঘোষণাও দেন।

সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের প্রামাণ্যচিত্র ‘জার্নি টু জাস্টিস’ প্রদর্শনীর পর ‘৭১-এর গণহত্যা থেকে গুলশান হত্যাকাণ্ড: ঘাতকদের বিচার বিঘ্নিতকরণের চক্রান্ত’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপত্বি করেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির।

সম্প্রতি প্রধান বিচারপতির কার্যালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সুপ্রিম কোর্টে এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে। এরপর সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন জনগণ যা চাইবে, তাই হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুধু বলতে চাই, এই আন্দোলন (যুদ্ধাপরাধ বিচারের আন্দোলন) আমাদের রক্তের মধ্যে। এ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আপনারা আমার বক্তব্য পরিস্কার শুনেছেন। গতকালকেও বলেছি এদের (যুদ্ধপরাধী) সম্পদের ব্যাপারে যখন দাবি উঠেছে তখন আইন করতে হবে। সে আইনও ইনশাল্লাহ করবো।’

এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, রুয়ান্ডা, বলিভিয়ায় আইন হয়েছে। আমরা সেসব ড্রাফট নিয়ে বসেছি। আবারো ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে বসে কীভাবে জনগণের উপকার হয়, তাদের অর্থ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছাবে, তা আমরা আইনের মধ্যে রাখার চেষ্টা করবো।

ট্রাইব্যুনালে আর্কাইভ হবে

আন্তর্জাতিক অপরাধ টাইবুনালে মুক্তিযুদ্ধের আর্কাইভ করার বিষয়ে মুনতাসির মামুনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে প্রস্তাব আসলে আমি ৩০ দিনের মধ্যে আর্কাইভ করে দেবো। আপনাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আপনারা প্রস্তাব তৈরি করে আনেন। আজকেই বলেন কতদিনের মধ্যে আনবেন আর্কাইভের প্লান। প্রপোজাল আনলেই আমি করে দেবো। আমি যদি ৩০ দিনের মধ্যে করে না দেই, তখন এভাবে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিবেন।’

মুক্তিযুদ্ধ কী সেটা আমি বুঝি, যোগ করেন আইনমন্ত্রী।

ঢাকা জার্নাল, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৬

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.