সোহাগপুরের নারী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা হচ্ছে, পাচ্ছেন ঠাঁই

সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৬

a-k-m-mojjammelঢাকা জার্নাল: শেরপুরের নলিতাবাড়ি উপজেলার বিধবাপল্লী সোগাগপুরের নারী মুক্তিযোদ্ধাদের (বীরাঙ্গনা) শিগগিরই তালিকা তৈরি করে সম্মাননা দেওয়া হবে। পাশাপাশি তাদের মাথাগোঁজার ঠাঁই হিসেবে ঘর তুলে দেওয়া হবে সরকারিভাবে।

বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) ধানমণ্ডির ওমেন্স ভলান্টিয়ারি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউভিএ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক . ম মোজাম্মেল হক এ ঘোষণা দেন।

সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের প্রামাণ্যচিত্র ‘জার্নি টু জাস্টিস’ প্রদর্শনীর পর ‘৭১-এর গণহত্যা থেকে গুলশান হত্যাকাণ্ড: ঘাতকদের বিচার বিঘ্নিতকরণের চক্রান্ত’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনায় সভায় সভাপত্বি করেন করেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন- আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, সোহাসপুরের নারী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করা হবে শিগগিরই। সম্মাননাও দেওয়া হবে। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর সঙ্গে আমি সেখানে গিয়ে তাদের সম্মানি ভাতাও দেবো। তাদের ঘর করে দেবো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে।

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা, তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা এবং জামায়াত নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে ইতিহাসের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। তা না হলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবই, কাউকেই ছাড় দেবো না। কারণ আমরা যেমন সিদ্ধান্ত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। তেমনি জামায়াতও সিদ্ধান্ত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে। এরা বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারে না। যদি আমরা জামায়াত নিষিদ্ধ করতে না পারি, তাহলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না।’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের তৈরি শিশু পার্ক থাকছে না। সেটাকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকেন্দ্র করে তোলা হবে। অর্থ ছাড়া হয়ে গেছে বলেও জানান মন্ত্রী।

ঢাকা জার্নাল, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৬

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.