সাংবাদিক সিদ্দিকুরের মুক্তি চায় তিন সংগঠন

সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৬

siddikঢাকা জার্নাল : তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক শিক্ষার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খানের মুক্তি দাবি করেছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রসহ (আসক) তিনটি সংগঠন। অপর দুই সংগঠন হলো বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ।

রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) পৃথক বিজ্ঞপ্তি ও বিবৃতিতে সংগঠন তিনটি এ দাবি জানায়।

ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মো. নূর খানের সই করা আসকের বিজ্ঞপ্তিতে সিদ্দিকুর রহমানের গ্রেপ্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভুল তথ্য থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারতেন। তা না করে আইসিটি আইনে মামলা করা এবং পুলিশ তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করায় এ পেশায় কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যে একধরনের ভীতির সঞ্চার হয়েছে, যা স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের পরিপন্থী। এ ধরনের আইনি প্রক্রিয়ার ঘটনা মোটেও ইতিবাচক নয়, বরং এতে মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে প্রত্যাশা করা হয়।
এদিকে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদ ও মহাসচিব এম আবদুল্লাহ এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার হাসনাত করীম ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম যৌথ বিবৃতিতে সিদ্দিকুর রহমানের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন। তাঁরা বলেন, আইসিটি বিষয়ক ‘কালো আইনে’ সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে সরকার আবারও প্রমাণ করেছে যে তারা স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করে না। সংবাদ প্রকাশের দায়ে সাংবাদিককে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এভাবে গোয়েন্দা পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তারের ঘটনা নিন্দনীয়।

প্রকাশিত সংবাদকে কেন্দ্র করে আইসিটি আইনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুনের করা একটি মামলায় গত বৃহস্পতিবার সিদ্দিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

ঢাকা জার্নাল, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.