মন্ত্রীর এপিস জড়িত প্রমান দিলেই বরখাস্ত

আগস্ট ২৪, ২০১৬

Hajঢাকা জার্নাল: স্লট বাতিল হলেও হজযাত্রী পরিবহনে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। আর হজযাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়ম, বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

অণ্যদিকে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা ধর্মমন্ত্রীর এপিএস শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে হাতে নাতে প্রমান দিলে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করারও ঘোষণা দেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বুধবার (২৪ আগস্ট) সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুল জলিল, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি ইব্রাহিম বাহারসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও হজ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বা বিমানের বাতিল হওয়া স্লট পুনরায় বরাদ্দ পেতে চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে ১৫টি স্লট বরাদ্দ দিয়েছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, আগামী ৩৫টি ফ্লাইটের যাত্রী ক্যাপাসিটি ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ৪১৯ করে বাতিল হওয়া স্লটের যাত্রী সমন্বয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সচিব ও হজ পরিচালকের বিরুদ্ধে হাবের অভিযোগ এবং হজ সমন্বয় পরিষদ ও ওমরা হজ এজেন্সিস অ্যাসোয়িশেনের পক্ষ থেকে হাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমি নিজে উপস্থিত থেকে সব সমস্যার সমাধান করেছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় ভিসা দ্রুত ছাড়া হয়েছে হজযাত্রীদের।

নির্ধারিত কোটার বাইরে অপেক্ষমান ৪০ হাজার হজযাত্রীর জন্য কথিত ১১ হাজার কোটা বরাদ্দের বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্মমন্ত্রী বলেন, অতিরিক্ত কোটার জন্য সৌদি সরকারের কাছে আমরা কয়েক দফা ডিও দিয়েছি। কিন্তু এখনও তারা কিছু জানাননি। আমরা এখনও চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

গত শনিবার (২০ আগস্ট) নয়াপল্টনে হোটেল ভিক্টোরিতে হাব নির্বাহী কমিটির জরুরি সভা এবং সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি ইব্রাহিম বাহার এবং মহাসচিব শেখ মো. আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত ১১ হাজার যাত্রীর কোটা নিয়ে ধর্ম সচিব এবং হজ পরিচালক গড়িমসি করছেন। তারা সেজন্য ধর্ম সচিব এবং হজ পরিচালকের অপসারণও দাবি করেন। তারা বলেন, সরকারি কোটার ৪ হাজার ৮০০ হজযাত্রীর বেসরকারি কোটা দেওয়ার পরেও ডিও লেটার দিচ্ছেন না হজ পরিচালক।

অপরদিকে হাবের বিরুদ্ধে হজ সমন্বয় পরিষদ এবং ওমরা হজ এজেন্সিস দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করে জানায়, ৪ হাজার ৮০০ হজযাত্রী নিয়ে ব্যবসা করতে চায় হাব। সে কারণেই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ক্ষতিগ্রস্তের নামে হজযাত্রী কোটার দাবিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে জড়িত হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘মন্ত্রীর এপিএস শফিকুল ইসলাম হাবের সঙ্গে আঁতাত করতে বৈঠক করছেন এবং আগেও অর্থআত্মসাতের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে’ এমন এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, হাতেনাতে প্রমাণ দিলে আমি এখানে বসেই তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করবো।

সংবাদ সম্মেলনে হাব সভাপতির আগের অভিযোগ সত্য বলে উল্লেখ করা হলেও মতিউর রহমান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং হাব পরিচালকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আমলে নেননি।

মন্ত্রী জানান, এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯৫ হাজার ৫৫৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন করবেন। এ পর্যন্ত ৯০ হাজার হজযাত্রীর ভিসা দূতাবাস থেকে স্ট্যাম্পিং হয়েছে। বাকিদের ভিসা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ বছর হজে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জনের। চাঁদ দেখা সাপেক্ষ আগামী ১২ আগস্ট পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ২৪, ২০১৬

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.