‘যারা মানুষ মারে, বাংলার মাটিতে তাদের স্থান নয়’

আগস্ট ২২, ২০১৬

pmঢাকা জার্নাল: ‘যারা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস লালন করে, যারা মানুষকে হত্যা করে, যারা গ্রেনেড ছুড়ে মানুষ মারে, তাদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। এদের প্রতিরোধ করেই দেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

রোববার (২১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণসভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের শক্তিতে আমরা বিশ্বাস করি। জনগণের শক্তিই হচ্ছে বড় শক্তি। জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, জনগণ যদি রুখে দাঁড়ায় তাহলে আমরা বাংলাদেশকে এ ধরনের ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে পারব। ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত সারাজীবনই বাংলাদেশের মাটিতে হয়েছে। যেখানে জাতির পিতার মতো একজনকে হত্যা করতে পারে- যিনি স্বাধীনতা এনে দিলেন, আত্মপরিচয়ের সুযোগ দিলেন, বাঙালি হিসেবে একটা জাতির মর্যাদা দিয়ে গেলেন, একটি রাষ্ট্র ও পতাকা দিয়ে গেলেন- তাকে পর্যন্ত এই মাটিতে হত্যা করা হয়েছে।’

যেভাবেই হোক বাংলার মাটি থেকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি কখনো মৃত্যুকে ভয় করি না। আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথাও নত করি না। একমাত্র আল্লাহকেই সেজদা দেই। আল্লাহর কাছেই মাথানত করি। আর কারো কাছে মাথা নত করি না। কারণ, আমি জাতির পিতার কন্যা। সেটা সব সময় মনে রাখি। আর জন্ম নিলে তো মরতে হবে। মৃত্যু যেকোনো সময় হতে পারে। কিন্তু মরার আগে মরতে রাজি না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যত বাধা-বিপত্তি আসুক না কেন এই দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে আমরা দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তুলবই।’

দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা এবং নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করেন। দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার যে ব্রত নিয়ে আমরা যে কাজ করছি, তা যেন করে যেতে পারি।’

এর আগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ১৪দলের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর একে একে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মোনাজাত করা হয়।

২০০৪ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। আহত হন দলের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ কয়েক শ’ মানুষ।

ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ২১, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.