এক মাস সময় পেলেন মীর কাসেম

জুলাই ২৫, ২০১৬

kasemঢাকা জার্নাল : মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনায় জামায়াতের শুরা সদস্য যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর সময়ের আবেদন এক মাস মঞ্জুর করেছেন আদালত। আগামী ২৪ আগস্ট শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ জুলাই) প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। অন্য বিচারপতিরা হলেন— সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে মীর কাসেম আলীর মামলাটি শুনানির জন্য আদালতে উত্থাপন করা হয়। আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এ মামলার শুনানির প্রস্তুতির জন্য দুই মাস সময়ের আবেদন জানান।

তবে খন্দকার মাহবুবের এ আবেদনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর পর প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা অন্যান্য বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে ২৪ আগস্ট শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন।

এর আগে আবেদনের বিষয়ে মীর কাসেমের ছেলে মীর আহমেদ বিন কাসেম সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘প্রস্তুতির জন্য দুই মাস সময়ের আবেদন করা হয়েছে। আপিল বিভাগের রায়ে এসেছে, এই মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ত্রুটিপূর্ণ।’

জামায়াতের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাসেমের এটাই আইনি লড়াইয়ের শেষ সুযোগ। এই আবেদন নাকচ হলে ফাঁসি এড়াতে তিনি শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন।

তিনি তা না চাইলে কিংবা আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকবে না।

২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দুই অভিযোগে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড এবং আট অভিযোগে সব মিলিয়ে ৭২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। গত ৮ মার্চ আপিলের রায়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মূল হোতার বিরুদ্ধে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন আহমেদকে খুনের দায়ে এক অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও ছয় অভিযোগে ৫৮ বছর কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখা হয়েছে।

গত ৬ জুন মীর কাসেমের ২৪৪ পৃষ্ঠার ফাঁসির পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। নিয়মানুযায়ী পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করেন মীর কাসেম আলী।

১৯ জুন ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন দাখিল করেন মীর কাসেম আলী। মোট ৮৬ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ১৪টি যুক্তি দেখিয়ে ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়েছে। ২৫ জুলাই রিভিউ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরুর পর আপিলে আসা এটি সপ্তম মামলা, যার ওপর চূড়ান্ত রায় প্রকাশের পর এখন রিভিউ শুনানির অপেক্ষা।

ঢাকা জার্নাল, ২৫ জুলাই, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.