ফোরজি সেবায় প্রস্তুত গ্রামীণফোন

জুলাই ২৩, ২০১৬

GP-CEO GPঢাকা জার্নাল: বাংলাদেশের প্রায় সব স্থানে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) সেবা পৌঁছে দেওয়ার পর চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) মোবাইল সেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুত দেশের শীর্ষ মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন।

গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে দেশের বৃহত্তম এ অপারেটর প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট তথা থ্রিজির ভূমিকা এবং ফোরজি সেবার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশে সর্বস্তরের জনগণের জন্য মোবাইল টেলিকম সেবা পৌঁছে দিতে ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে গ্রামীণফোন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের সর্বত্র মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি দশ হাজার ২৬টি বিটিএসকে থ্রিজিতে রূপান্তর করেছে অপারেটর প্রতিষ্ঠানটি।

রাজীব শেঠির ভাষায়, থ্রিজিতে গ্রামীণফোন উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে। আমরা অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে সাফল্য অর্জন করেছি। দশ হাজার থ্রিজি সাইটের ফলে দেশের ৯০ শতাংশ জনগণ উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করতে পারছেন।

তিনি বলেন, “দশ হাজার বিটিএস একটা বিশাল সংখ্যা। এর ফলে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবার আওতায় এসেছে। আমি মনে করি, সামাজিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট খুব শক্তিশালী মাধ্যম। আমরা অত্যন্ত খুশি। থ্রিজির দশ হাজার বিটিএস স্থাপনে শুধু গ্রামীণফোন গর্বিত তা নয়, বাংলাদেশও গর্বিত। কারণ ৯০ শতাংশ কাভারেজ খুব ছোট সংখ্যা নয়।”

গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় জিপি হাউজে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উঠে আসে গ্রামীণফোনের বর্তমান সেবা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা।

টুজি সাইটগুলো থ্রিজিতে রূপান্তরে কী পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে তা প্রকাশ করতে না চাইলেও গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এটুকু বলতে পারি বছর হিসেবে ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করেছি এবং ২০১৬ সালে বিনিয়োগ পূর্বের বছরকে ছাড়িয়ে যাবে।

“আমরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখতে চাই। বিশেষ করে ইন্টারনেট সার্ভিসের জন্য এ দেশে বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে।”

ফোরজি সেবা চালু করা নিয়ে গ্রামীণফোন প্রস্তুত কিনা- প্রশ্নে অপারেটরটির সিইও রাজীব বলেন, কেন নয় ! আমি মনে করি, গ্রাহকরা টুজি, থ্রিজি, ফোরজি বোঝে না; তারা চায় মোবাইলে বেশি বেশি ভিডিও, টেলিভিশন, ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের মত সেবা- এগুলো গ্রাহকের চাহিদা।

“আমাদের থ্রিজি’র দশ হাজার সাইট ফোরজি’র জন্য প্রস্তুত। আমরা প্রস্তুত গ্রাহকের চাহিদা মেটানোর জন্য। উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবার জন্য, ফোরজি সেবার জন্য। তবে স্পেকট্রাম নিউট্রালিটি (তরঙ্গ নিরপেক্ষতা) নিশ্চিত করতে হবে।”

আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে রাজীব শেঠি বলেন, আমরা দেশের সব থেকে বড় নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার। আমাদের নেটওয়ার্ক সেরা মানের। বিশেষ করে ইন্টারনেটের ‘কোয়ালিটি অব সার্ভিস’ উন্নয়নে কাজ করছি। আমাদের আরও কিছু করতে হবে। ঢাকায় নতুন ভবন উঠছে, এতে অপারেটরগুলোর নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া চ্যালেঞ্জ। অনেক সময় গ্রাহক মনে করেন নেটওয়ার্ক চলে গেল, কারণ প্রতিনিয়ত শহরের টপোগ্রাফি পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা সেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেবা অব্যাহত রাখতে চাই।

বাংলাদেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে রাজীব শেঠি বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে এ দেশে বিনিয়োগ করছি। এই দেশ, এ দেশের মানুষের প্রতি আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘উই আর এ লং টাইম প্লেয়ার, টেলিনর ইজ এ লং টাইম প্লেয়ার, গ্রামীণফোন ইজ এ লং টাইম প্লেয়ার হেয়ার’।

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ২২, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.