মুম্বাইয়ে ভবন ধসে নিহত ৩১, আহত ৫০

এপ্রিল ৫, ২০১৩

ঢাকা জার্নাল: মুম্বাইয়ের অদূরে থানে এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে ১১ শিশুসহ ৩১ জন নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে কমপক্ষে অর্ধশত ব্যক্তি। এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে অনেকে আটকা পড়ে আছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

দেশটির সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টার দিকে মুম্বাইয়ের শিল পাটা এলাকায় নির্মাণাধীন আবাসিক ভবনটি ধসে পড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ধসে পড়া ভবনটির নিচে এখনও অনেকে আটকা পড়ে আছেন।

দুর্বল নির্মাণ কাঠামো এবং নির্মাণে নিম্ন মানের কাঁচামাল ব্যবহারই ভবনটি ধসে পড়ার মূল কারণ বলে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়।

ইতোমধ্যে ভবনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লাকি বিল্ডার্সসহ এর সুপারভাইজার ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, ভবনটি অবৈধভাবে বন বিভাগের জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন থেকে ভবনটি নির্মাণের কোনো অনুমতি ছিল না এবং এর কোনো সঠিক নির্মাণ কাঠামোও ছিল না। আইন অমান্য করে মানুষজন ইতোমধ্যে ভবনটিতে বসবাস শুরু করেছে বলেও পুলিশ জানায়।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে নির্মাণ কাজ শুরু করে ইতোমধ্যে ভবনটির সাত তলার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

মানুষজনের বসবাস ছাড়াও ভবনটির নিচ তলায় ইতোমধ্যে কয়েকটি দোকানপাট খোলা হয়েছে। এছাড়া এর দ্বিতীয় তলায় রয়েছে একটি কোচিং সেন্টার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীরা চলে যাওয়ার পরপরই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এদিকে ঘটনার পর রাত সাড়ে ন’টা থেকে ভারতের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা কেন্দ্রের একটি দলসহ মুম্বাই পুলিশের একশ’জন সদস্য উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

মহারাষ্ট্রের শ্রম মন্ত্রী গণেশ নায়েক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “ভবনটি নির্মাণে কোনো পেশাদার ছাড়পত্র ছিল না। এছাড়া ভবনটি কোন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হচ্ছিল সে বিষয়েও কোনো ধরনের তথ্য নেই। মাত্র দেড়মাস আগে শুরু হওয়া ভবনটির কাজ এত দ্রুত শেষ হওয়াই প্রমাণ করে এর স্থাপত্য ছিল খুবই দুর্বল।”

তিনি আরও বলেন, “দুর্ঘটনার জন্য কারা দায়ী এটি বলা কঠিন। তবে বলতে পারি এর জন্য আমরা সবাই দায়ী।”

ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ০৫, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.