দুর্যোগ ব্যবস্থপনা অধিদপ্তরের অফিস সহকারি আসাদুল ভূয়া মুক্তযোদ্ধা!

জুলাই ১৫, ২০১৬

Disঢাকা জার্নাল: ভূযা মুক্তিযোদ্ধা আসাদুল ইসলাম ২৫ বছর চাকরিতে রয়েছেন ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরে। শুধু তাই নয় ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ-বিত্তেরও মালিক হয়েছেন। এই অভিযোগের পর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নোটিশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এই অভিযোগ করেছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী এলাকার তরিকুল ইসলামের এক ব্যক্তি।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, রাজশাহীর তানোর উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারি হিসেবে কর্মরত আছেন আসাদুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধ না করেও মুজিব নগর সরকারের কর্মচারি হিসেবে প্রায় ২৫ বছর ধরে সরকারি চাকরি করে সকল সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন। শুধু তাই নয় বিপুল পরিমাণ অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন ঘুষ-দুর্নীতি করে। রাজশাহী মহানগরের নতুন হড়গ্রাম ডিংগাডোবা গীর্জার পূর্ব দিকে কয়েক কোটি টাকার আলিশান বাড়ি করেছেন। রাজশাহী ও বগুড়াতে জায়গাজমি ও বাগান করেছেন।

অভিযোগ মতে, মুক্তিযুদ্ধকালীন মাত্র ১২ বছরের আসাদুল ইসলাম জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া মুজিব নগর সরকারের কর্মচারী  হিসেবে নির্বিঘ্নে ২৫ বছর ধরে চাকরি করছেন। চতুর আসাদুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা কিনা তা নিয়ে বিতর্ক এড়াতে মুক্তিযুদ্ধ তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করেননি। রাজশাহী জেলা প্রশাসন দপ্তরে মুক্তিযোদ্ধদের যে তালিকা সংরক্ষিত আছে তাতে তার নাম নেই।

গত ১০ জুলাই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত আবেদন করেন তরিকুল ইসলাম। পরদিন ১১ জুলাই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরার লিখিত আবেদন করেন। আবেদনে আসাদুল ইসলামের প্রতারণার জন্য চাকরি থেকে অব্যাহতি এবং সরকারের কাছ থেকে বেতন হিসেবে গ্রহণ করা সব টাকা ফেরত নেওয়ার দাবি জানান।

দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর করা অভিযোগে আসাদুলের সম্পদের হিসেব অনুসন্ধান এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তরিকুল ইসলাম।

তবে মন্ত্রণালয়ের এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসাদুল ইসলাম জানিয়েছেন পারিবারিক জমিগায়গার বিরোধের কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগকারি তার সহদোর। অভিযোগটি বানোয়াট। তিনি অভিযোগের প্রতিবাদে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা বা মুজিব নগর সরকারের কর্মচারি হিসেবে চাকরি নেননি। তবে তিনি মুক্তিযোদ্ধা কিনা তা উল্লেখ করেননি তার প্রতিবাদে।

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ১৫, ২০১৬

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.