সন্ত্রাসে সক্রিয় যুদ্ধাপরাধীদের পরিবার

জুলাই ১৩, ২০১৬

PM-Sheikh-Hasina-ঢাকা জার্নাল: সন্ত্রাসীদের বিষয়ে সবাইকে আরো সচেতন ও সর্তক হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এসব কর্মকাণ্ডে বিএনপি-জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের পরিবারগুলোর সম্পৃক্ততার তথ্য রয়েছে।

বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেলে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূল করতে গণভবন থেকে চট্ট্রগাম ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ের সমাপণী বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের শুরুতে টানা তিন মাস বিএনপি জামায়াত যেভাবে সারা দেশে অগ্নিসংযোগ, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, জগণ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে এখনও তারা থেমে নেই। তারাই জঙ্গীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করছে।

যুদ্ধাপরাধীদের পরিবার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এমনও তথ্য আছে, যেসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে তাদের পরিবার থেমে নেই। তারাও নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

‘তাদের অনেকে দেশে-বিদেশে থাকে, তাদের সম্পদের অভাব নেই। তারা যেমন অপপ্রচার চালাচ্ছে, তেমনি জঙ্গি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মদদ দিচ্ছে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশি-বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন রিপোর্টে আমরা এসব খবর পাচ্ছি, নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা।

বিভিন্ন স্থাপনার পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ওপরও হামলা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে নিজ নিজ এলাকায় আরো সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তথ্য সংগ্রহ ও তথ্য আদান প্রদান করতে হবে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবেলা করতে হবে।

বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে উৎসবে সবাই আনন্দ ভাগাভাগি করে। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। বাংলাদেশের এটাই সৌন্দর্য্য সকলে যার যার ধর্ম পালন করে। এই চমৎকার পরিবেশ যেন কখনোই নষ্ট হতে না পারে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, ইসলাম ধর্মকে হেয় করার কোন কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। হুশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পবিত্র ধর্ম ইসলামের নামে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে তারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘নিরীহ মানুষকে হত্যা করা পাপ। এ ধরনের কাজ যারা করে তারা জনগণের ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই পাবে না। জান্নাতে তাদের ঠাঁই হবে না। দোজখের আগুনে তারা জ্বলবে।’

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি এই ঘটনাগুলো বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। তাছাড়া এ ধরনের আক্রমন জগণ্য অপরাধ, ঘৃণ্য অপরাধ।

অত্যন্ত দূঃখের বিষয়, আমরা এটাও দেখি পবিত্র মদিনা শরীফে মসজিদে নববীতে বোমা হামলা করা হচ্ছে। আমরা জানি না এরা কি ধরনের মুসলমান। ইসলামের কথা বলে, ইসলামের নাম করে তারা এসব করছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। তারা সেই ধর্মকে অবমাননা করছে, বিশ্বের কাছে হেয় করছে।

এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড যারা চালায় তারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী হতে পারে না, মত দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশে সব সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকুক। শান্তি শৃঙ্খলার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

গণভবনে এই কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ।

গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনা আমাদের জন্য লজ্জাজনক

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ১৩, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.