আমদের ভূলে যাও

জুলাই ৪, ২০১৬

Gulshan-Follow--bn2420160704204926ঢাকা জার্নাল : জাপানের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘শিনচু’র এডিটর টাটসুরু নাকাগাওয়া। জাপান থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমাববন্দরে নেমেছেন সোমবার (০৪ জুলাই) সকালে।

কোথাও বিশ্রাম না নিয়ে সরাসরি চলে এসেছেন ‘হলি আর্টিজান বেকারিতে। যেখানে সাতজন জাপানি নিহত হয়েছেন সেই স্থানকে এক নজর দেখতে এবং হারানো স্বজনকে শ্রদ্ধা জানাতে তার এই ছুটে আসা। হাতে কয়েকটি ফুলও নিয়ে এসেছেন তিনি।

ফুলের সঙ্গে সাদা কাগজের উপরে কালো কালিতে লিখা, ‘Forgive us’। শুধু টাটসুরু নাকাগাওয়া নয় অর্ধশতাধিক জাপানি হারানো স্বজনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। পাশাপাশি ফেলেছেন চোখের জল। চোখের জলের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন নানা রঙের ফুল।

হলি আর্টিজান বেকারি থেকে কয়েক গজ দূরেই একটি হলুদ ব্যারিকেট। প্রায় ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সব সময় দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যারিকেটের পাশের বাসার বাসিন্দা ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

Gulshan-Follow-14-bn2420160704204903পুলিশি ব্যারিকেট ঘেঁষে নানা ধরনের ফুলেরস্তূপ। এসব ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। প্রজ্জ্বলনও করা হয়েছে অর্ধশতাধিক মোমবাতি।

সন্ত্রাসীদের ধিক্কার ও নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েকটি সংগঠনের লোকজন। অপরাজেয় বাংলাদেশ নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসী কার্যক্রম মোকাবেলায় দেশবাসীকে একত্রিত হওয়ার আবেদন জানিয়ে মানববন্ধনও করে সংগঠনটি।

এর কিছুক্ষণ পরেই নাম ঠিকানাবিহীন একটি শোকের কালো ব্যানারও টানানো হয় ব্যারিকেটের সামনে। নাম ঠিকানাবিহীন ব্যানারের ভাষা ছিল, ‘We grieve for the fallen, we stand with the bereaved.

বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার জন্য অনেকে অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছেন হলি আর্টিজান বেকারি নামক মৃত্যুপুরীতে। যেখানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ২০ বিদেশিকে গলাকেটে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। এ ঘটনায় জঙ্গিদের গুলি ও গ্রেনেডের আঘাতে ছয়জন সন্ত্রাসী ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২৮ জন নিহত হয়েছেন।

তবে জাপান ও ইতালিসহ বিদেশি স্বজনরা সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাচ্ছেন না। সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের স্বজনেরা দূর থেকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে দেখছেন হলি আর্টিজান বেকারিকে। এর পরেই ব্যারিকেটের পাশে চোখের জল ফেলে বিদায় নিচ্ছেন স্বজনরা।

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ০৪, ২০১৬

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.