শিবির নেতা মোস্তফা কামাল রাজধানীতে আটক

জুন ২০, ২০১৬

Atokঢাকা জার্নাল : দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পরে অবশেষে রাজধানী ঢাকায় আটক হলো শিবির নেতা মোস্তফা কামাল। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিশেষ গোয়েন্দা টিম গত ৭দিনের অভিযানে রাজধানী ঢাকার কোনাপাড়ার একটি মাদরাসা থেকে তাকে আটক করে।
মোস্তফা কামাল কুমিল্লা জেলাধীন বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা  ইউনিয়নের শোলাপুকুরিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আত্মগোপনে থাকা শিবির নেতা মোস্তফা কামাল বিগত বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটের আমলে এলাকায় জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিল। চার দলীয় জোটের বিভিন্ন সভায় জামায়াত-শিবিরের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারআত্মগোপনে থাকা শিবির নেতা মোস্তফা কামাল রাজধানীতে আটক আসার পর
দেশত্যাগ করে আত্মগোপনে থাকা শিবির নেতা মোস্তফা কামাল। ৫ বছর বিদেশে আত্মগোপনে থাকার পর দেশে এসেও ঢাকায় আত্মগোপনে থাকে সে। দিনে বাইরে থাকে রাতে এসে মাঝে মাঝে ডেমরার কোনাপাড়ায় এক মাদরাসায় সে ঘুমায়। সেখানে আত্মগোপনে থেকে সম্প্রতি জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়।

ডিএমপি সূত্র নিশ্চিত করেছে,আত্মগোপনে থাকা কামাল নামের একজন শিবির কর্মী ঢাকার কোনাপাড়ায় আত্মগোপনে আছে, এমন সংবাদ পেয়ে তারা বিশেষ অভিযানে তাকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে পয়ালগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহিন উদ্দিন জানান, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে আত্মগোপনে থাকা মোস্তফা কামাল এলাকায় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। সে এলাকায় তাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। দীর্ঘদিন বিদেশে আত্মগোপনে থাকার দেশে এসে ঢাকায় থাকত সে ।
সেখানে জামায়ত-শিবিরের বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় তাকে আটক করা হয়েছে, আমি জেনেছি।

এ বিষয়ে বরুড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন চৌধুরী বলেন, গত বিএনপি-জামায়াতের আমলে আত্মগোপনে থাকা মোস্তফা কামাল জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করত। এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাকে দেখা গেছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসায় সে বিদেশে আত্মগোপনে ছিল। এখন শুনেছি, সে দেশে এসে ঢাকায় থাকে। মাঝে মাঝে এলাকায় এসেও নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়।

গত ১০ জুন মধ্যরাত থেকে ১৭ জুন সাতদিনের অভিযানে আটক করা হয়েছে  মোট ১৫৫৭৬
জন। তাদের মধ্যে সন্দেহভাজন ১৫১ জন জেএমবি (জামাআতুল মুজাহিদীন), ৭ জন জেএমজেবি (জাগ্রত মুসলিম জনতা), ২১ জন হিজবুত তাহরির, ৬ জন এবিটি (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম), ৩ জন আনসার আল ইসলাম, ৪ জন আল্লার দল, একজন হরকাতুল জিহাদ এবং একজন আফগান ফেরত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। ঢাকা জার্নাল, জুন ২০, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.