পদ্মাসেতু নির্মাণে প্রশংসা প্রণবপুত্রের

জুন ১৮, ২০১৬

India-BG20160618135140ঢাকা জার্নাল: নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ সফররত লোকসভার সদস্য ও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী পুত্র অভিজিৎ মুখার্জী।

শনিবার (১৮ জুন) সকালে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে তিনি এ প্রশংসা করেন।

সাক্ষাৎকালে তারা দু’দেশের সংসদ,সংসদীয় কার্যক্রম, নারী নেতৃত্বের বিকাশ, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার, বর্ডার হাট চালু , সীমান্ত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, দু’দেশের কবি সাহিত্যিকদের বাংলা ভাষা চর্চার সুযোগ বৃদ্ধি ও বাংলা ভাষায় গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।

ভারতের লোকসভার সদস্য অভিজিৎ ম‍ুখার্জী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সংস্কৃতি, ভাষা ও আচার আচরণ এক। দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্যে আরো প্রসার হলে এর মাধ্যমে  দু’দেশের মানুষের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে। তিনি বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় আরো বেশি সংখ্যক বর্ডার হাট চালু এবং একই সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অভিজিৎ মুখার্জী বাংলা ভাষার উন্নয়নের জন্য দু’দেশের কবি সাহিত্যিকদের সম্মিলিতভাবে বাংলা ভাষা চর্চার সুযোগ সৃষ্টি ও বাংলা ভাষার উন্নয়নে যৌথ গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধির আহবান জানান।

অভিজিৎ মুখার্জী  বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। দু’দেশের সংসদের মধ্যে নিয়মিত প্রতিনিধি বিনিময়ের মাধ্যমে এই সম্পর্ক আরো জোরদার হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক খুবই চমৎকার উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তিনি দু’দেশের জনগণের মধ্যে ভবিষ্যতে এসকল ক্ষেত্রে আরো সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

স্পিকার আরো বলেন, ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাস দীর্ঘদিনের এবং তা অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বাংলাদেশও এক্ষেত্রে উন্নতি সাধন করছে। বাংলাদেশ ও ভারতের পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

এসময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান, হুইপ ইকবালুর রহিম এবং বেগম মাহজাবিন খালেদ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা জার্নাল, জুন ১৮, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.