তরুণদের উৎসাহ ও প্রবীণদের অভিজ্ঞতাই কাজে লাগাতে চান মতিন ভূইয়া

জুন ১৩, ২০১৬

MOTINঢাকা জার্নাল : তরুণদের উৎসাহ ও প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সফটওয়্যার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানসমূহের একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস)কে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। নবীন প্রবীণ সবাই একসাথে মিলে কাজ করবো, এই আগ্রহ ও অভিজ্ঞতাই হবে আমার এগিয়ে যাওয়ার শক্তি।

এভাবেই আসন্ন বেসিস নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী এবকো ওভারসিজ কর্পোরেশন লিমিটেড’র সিস্টার কনসার্ণ এবকো আইটি’র চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভূইয়া নিজের ভবিষ্যৎ কার্য পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম সফল করতে ও প্রযুক্তিখাতের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে বর্তমান সরকার। সরকার ঘোষিত সকল সুযোগ সুবিধার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে বেসিসের সকল সদস্যের উন্ননয়ের জন্য সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই।

আব্দুল মতিন ভূঁইয়া বলেন, বেসিসের এবারের নির্বাচনে শতকরা ৫২ ভাগ সদস্যদেরই ভোটার হতে পারেননি। এর কারণ হিসেবে অনেকেই উল্লেখ করে বলেছেন, সেইসব সদস্যদের কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকায় অথবা সদস্য ফি না দেওয়ায় তারা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। এমনকি অনেক সদস্য আছেন যাদের আসলে সদস্য ফি দিতেও অনেক টানাপোড়ন। তাদের গাইডলাইন না দিয়ে, তাদের উন্নয়নে সময় না দিয়ে কেউ কেউ রেডিসন-ওয়েস্টিনের মত অভিজাত হোটেলে বসে মিটিং করছেন। এই রেডিসন-ওয়েস্টিন সংস্কৃতি বাদ দিয়ে সদস্যদের মান উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে চাই।

বেসিস সদস্যরা তাদের নিজ প্রতিষ্ঠানে উপেক্ষিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান বেসিসের কার্যালয়ে সদস্যরা যথাযথ সম্মান পাচ্ছেনা। তাই অনেক সদস্যই বেসিস কার্যালয় বিমুখ।

বেসিস কার্যালয় হবে এমন একটি মিলনকেন্দ্র যেখানে প্রত্যেক সদস্য মাঝে মাঝে আসবে অন্যান্য সদস্যদের খোঁজ-খবর নিতে। সেইসাথে নানা ধরণের আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে এখান থেকেই বেরিয়ে আসবে নতুন নতুন আইডিয়া। এবং

আলোচনা সমালোচনার মধ্য দিয়ে নিজেরাই নিজেদের উন্নয়ন করতে পারবে বলে আমি মনে করি। তাই সাংগঠনিক এই কার্যালয়টিতে প্রত্যেকের সম্মান নিশ্চিত করে সদস্যদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত করে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও ব্যবসায়ের মান উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে চাই।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ পৃথিবীতে অন্যতম আলোচিত দেশ। ওয়ার্ল্ড ব্যংকের তালিকায় বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় ১৭টি দেশের মধ্যে, বাংলাদেশের নামও রয়েছে । ওয়ার্ল্ড ব্যংক ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালসহ  বড় বড় দাতা ও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ শেয়ার বাংলাদেশী কোম্পানীর নিশ্চিত করে দেশের তথ্যপ্রযুক্তির বাজার ও কোম্পনীগুলোর উন্নয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ ২০২১ সালের মধ্যে এ খাতে ৫ বিলিয়ন ডলার অর্জন করা সম্ভব হবে।

তাই আমি আমার ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা ও সকলের সহযোগিতা নিয়ে বেসিস্কে অন্যতম একটি সফল ট্রেড বডি রবং বেসিস ের সকল সদস্যদের মান উন্নয়ন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে তাদের চলার পথ সুগম করতে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই।

ঢাকা জার্নাল, জুন ১৩, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.