বিশ্বকে ২০৩০ সালের মধ্যে এইডসমুক্ত করার প্রত্যয়

জুন ১১, ২০১৬

UN-Generalঢাকা জার্নাল: আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এইচআইভি ভাইরাস বা এইডসকে জনস্বাস্থ্য সমস্যার তালিকা-বিমুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে শেষ হলো জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের সভা। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের আওতায় এই সমস্যা বিমুক্তির প্রত্যয় নেওয়া হয়েছে।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে ৮ জুন শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এ সভা শেষ হয় ১০ জুন। এতে পাঁচটি অফিসিয়াল প্যানেল ও ৩০টি পার্শ্বসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অংশ নেন জাতিসংঘের প্রায় ৬০০ প্রতিনিধি। এরমধ্যে ছিলেন ১০ জন সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান, ৬০ জনের বেশি মন্ত্রী ও সরকারি প্রতিনিধি, এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, নাগরিক অধিকার ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, বিজ্ঞানী ও গবেষকরা।

অধিবেশনে বাংলাদেশের ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট মোগেন লাইকেটফটের আহ্বানে অনুষ্ঠিত সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতা করেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।

এতে আরও বক্তৃতা করেন ইউএনএইডস’র নির্বাহী পরিচালক মাইকেল সিদিবি, প্রয়াত মানবাধিকারকর্মী নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি এনদাবা ম্যান্ডেলা।

সভায় ‘দ্রুত গতিতে এইডস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিশ্বকে ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস মহামারি মুক্ত করা’র বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে একটি রাজনৈতিক ঘোষণা অনুমোদন করা হয়।

যৌথ এ রাজনৈতিক ঘোষণার তিনটি রূপকল্প হলো- ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী নতুন এইচআইভি সংক্রমণ ৫ লাখের নিচে কমিয়ে আনা; এইডসজনিত মৃত্যু ৫ লাখের নিচে কমিয়ে আনা এবং এইচআইভি সম্পর্কিত কুসংস্কার ও বৈষম্য দূর করা।

এ রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য সর্বসম্মতভাবে নানামুখী কর্মসূচি ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতা স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ৯ জুন সভার মূল অধিবেশনে বক্তৃতা দেন। তিনি এইচআইভি/এইডস নিয়ন্ত্রণে সরকারের অঙ্গীকার ও সাফল্য তুলে ধরেন।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে এইচআইভি সংক্রমণের হার শতকরা ০.১ ভাগেরও নিচে। তবে শহরাঞ্চলে সূঁচের মাধ্যমে নেশাকারী কিছু ব্যক্তির মধ্যে বেশি মাত্রায় এইচআইভি সংক্রমণ আছে। পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ থেকে এবং প্রবাসী জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকিও আছে বাংলাদেশে। তবে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তথ্য-উপাত্তভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিরোধ, সেবা, চিকিৎসা ও সহায়তামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে রোগটি ছড়াতে পারেনি।

তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা ও দাতা সংস্থাসহ এনজিওদের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন।

ঢাকা জার্নাল, জুন ১১, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.