হাইড্রো ক্লোরোফ্লোরো কার্বনের আমদানি নিষিদ্ধ

জুন ৯, ২০১৬

karbonঢাকা জার্নাল: হাইড্রো ক্লোরোফ্লোরোকার্বনের আমদানি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। পর্য‍ায়ক্রমে ওজোন স্তর ক্ষয় ও বৈষ্ণিক উষ্ণতা বাড়ানোর জন্যে দায়ী এমনদ্রব্যের আমদানি এবং ব্যবহারও বন্ধ করা হবে।

এর আগে ২০১০ সালে ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (সিএফসি), মিথাইল ক্লোরোফরম, মিথাইল ব্রোমাইড আমদানি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ কর‍া হয়।

আর ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে আমদানি, রফতানি ও বিপণন সম্পূর্ণ নিষ্দ্ধি করাহয়েছে তাপ অপরিবাহী (ইনস্যুলেশন) ফোম উৎপদনে ব্যবহার হওয়াএইচসিএফসি-১৪১বি।

এরই ধারাবাহিকতায় হাইড্রো ক্লোরোফ্লোরোকার্বনের আমদানি  ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, পরিবেশের ক্ষতিকারক এসব দ্রব্য যেসব ক্ষেত্রে এখনও ব্যবহার হচ্ছে,সেগুলোর বিকল্প প্রযুক্তি ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া  অবৈধপথে নিয়ে আসা বা নকল সিএফসি-১২ রিফ্রিজারেশন কোথাও পাওয়া গেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২০১৪ সালের সংশোধিত ওজোন স্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিধিমালার আওতায় এ নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।  

মন্ট্রিল প্রটোকল স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ওজোন স্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী ও বৈষ্ণিক উষ্ণতা বাড়াতে সক্ষম এমন দ্রব্য আমদানি নিষিদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০১৪ সালে দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিধিমালার সংশোধন করা হয়।

এক নির্দেশনায় পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. রইছ উল আলম মণ্ডলবলেন, পরিবশে বান্ধব ও জ্বালানি সাশ্রয়ী টেকসই প্রযুক্তি নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। ওজোন স্তর ক্ষয় ও বৈষ্ণিক উষ্ণতা বাড়ানোর জন্যের দায়ী এমন দ্রব্যের আমদানি ও ব্যবহারও পর্যায়ক্রমে নিষিদ্ধ করা হবে।

তাই রিফ্রিজারেশন এবং গৃহস্থলী, বাণিজ্যিক ও শিল্পে ব্যবহৃত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র কেনার সময় তা পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানি সাশ্রয়ী কিনা জেনে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অবৈধপথে নিয়ে আসা বা নকল সিএফসি-১২ রিফ্রিজারেশন কোথাও পাওয়া গেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা জার্নাল, জুন ০৬, ২০১৬

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.