সাংবাদিকতার দায় ॥ আশিস বিশ্বাস

মে ২৬, ২০১৬

Ashish Biswas‘Journalism is information. It is communication. It is the events of the day distilled into a few words, sounds or pictures processed by the mechanics of communication to satisfy the human curiosity of a world that is always eager to know what is new.’

– David Wain Wright W.H.Allen.

উল্লিখিত সংজ্ঞা দিয়ে চমৎকারভাবে বোঝা যায় সাংবাদিকতা কী এবং কাকে বলে! সাংবাদিকতা যে একটি যোগাযোগ প্রক্রিয়া সে ধারণাও স্পষ্ট হয় এই সংজ্ঞা থেকে। সমাজতত্ত্ববিদ চার্লস কুলী যোগাযোগের ধারণা দিয়েছেন এই বলে যে- ‘মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক যে ক্রিয়াকৌশলের মধ্য দিয়ে বজায় থাকে ও বিকশিত হয়, তা-ই যোগাযোগ।’

একজন সাংবাদিক এই যোগাযোগের বন্ধন তৈরি করেন সময়ের সাথে সময়ের, মানুষের সাথে মানুষের এবং তা’ টেনে নিয়ে যান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। এ কারণে সাংবাদিকতা একটি দায়িত্বশীল পেশা।আবার মহান পেশাও!

আর নিউজ বা সংবাদকে বলা হয় ‘ইতিহাসের প্রথম খসড়া’। আজ যা খবর, আগামীকাল তা’ইতিহাস। সময়ের দলিল। যেমন ধরুন, জামাত যে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, তার অকাট্য প্রমাণ কোথায় পাওয়া যাবে ? এর প্রমাণ পাওয়া যাবে ’৭১-এর পত্রপত্রিকায়।

জামাত-এর দৈনিক পত্রিকার নাম ‘দৈনিক সংগ্রাম’। একাত্তরের সময়ও এটি ছাপা হতো। প্রতিদিনকার খবরে জামাতের তৎপরতার কথা, জামাত নেতাদের বক্তব্য ওই পত্রিকার কলামে কলামে লিপিবদ্ধ আছে। যে কেউ চাইলেই তা’ দেখতে পারেন। তখনকার খবরগুলোই আজ দলিল। ওই দলিলগুলিই সাক্ষ্য-প্রমাণ দিচ্ছে যে, জামাত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী। এটা একটা উদাহরণ দেয়া  হলো মাত্র।

‘খবর’ বা ‘সংবাদ’ সময়কে ধরে রাখে পত্রিকার পাতায় পাতায়। যদিও অডিও-ভিডিও মাধ্যমও সেই একই কাজ করে। তবে সাধারণ মানুষের কাছে পত্রিকার কথাই বেশি উঠে আসে। তাই পত্রিকার কথা বলা! যে কোনো মাধ্যমের খবর বা সংবাদ এক সময় ইতিহাসের উপাদান হয়ে ওঠে। সময় (ঞরসব) একজন সাংবাদিকের কাছে তাই খবরের বস্তনিষ্ঠতা দাবি করে। খবরের ’ভারসাম্য’ চায়। তা’ না থাকলে, খবরে পক্ষপাতিত্ব থেকে যায়। এতে করে সংবাদ মাধ্যমের প্রতি পাঠক-দর্শক-শ্রোতার আস্থাও কমে যায়। পরবর্তীতে সে সংবাদ মাধ্যম খুব দ্রুত কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। কিন্তুু ইতিহাস গড়তে একজন সাংবাদিকের দায় অনেক বেশি হয়ে থাকে।

একজন সত্যিকারের সাংবাদিক মন যা চায়, তা’ লিখতে পারেন না। কারণ তিনি আইনের ঊর্ধ্বে নন।আবার তিনি বিবেকেরও ঊর্ধ্বে নন। তার লেখার দায়-দায়িত্ব তাকে বহন করা ছাড়াও পত্রিকার ওপরও সে দায় এসে পড়ে। সে জন্য একজন সাংবাদিককে সব সময় সতর্ক থাকতে হয়; সন্দেহ প্রবণ হতে হয়। তাকে ভাবতে হয়, তিনি যা লিখছেন, তা’ কী জনস্বার্থের পক্ষে? তার লেখার কারণে কোনো নির্দোষ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না তো!

সাংবাদিকতা মহান পেশার একটি। যদি কেউ সাংবাদিক হতে চান, তবে তাকে মনে-প্রাণেই সাংবাদিক হতে হয়। মনে-প্রাণে সৎ থাকতে হয়! তারও আগে তাকে সত্যিকারের মানুষ হয়ে উঠতে হয়। নিজেকে ধর্ম, ব্যক্তিস্বার্থ, গোষ্ঠীস্বার্থের ঊর্ধ্বে রাখতে হয়। একটি নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে ঘটনা কিংবা খবরকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করতে হয়। একজন সাংবাদিককে খবরের পেছনে আর কী কী বিষয় আছে, তা’ জানতে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়। আপাত সত্যি, সত্যি না-ও হতে পারে। এখন যা সত্যি বলে মনে হচ্ছে, পরবর্তীতে তা’ একেবারে মিথ্যাও প্রমাণিত হতে পারে। তাই একজন সাংবাদিককে খুব তীক্ষ্মধী হতে হয়। মন চাইলেই সাংবাদিক হওয়া যায় না। তার জন্য নিজেকে একটু একটু করে তৈরি করতে হয়। প্রকাশিত খবরের দায়-দায়িত্ব নেয়ার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হয়। নিজেকে মানবিক করে গড়ে তুলতে হয়। এ ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ-ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার অধ্যাপক কারটিস ডি ম্যাকডোগাল-এর কথা মনে পড়ে। তাঁর মতে, একজন যোগ্য সাংবাদিককে ২০টি গুণের অধিকারী হতে হয়। সেই গুণগুলো হচ্ছে-

১. তিনি হবেন বুদ্ধিমান;

২. তিনি হবেন সকলের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন। খিটমিটে মেজাজ, অহংকারী, গোমড়ামুখো, হামবড়া ও মারমুখী ব্যক্তিরা এ পেশার যোগ্য  নন;

৩. তার কল্পনা শক্তি থাকবে। কিন্তু তা’ বলে তিনি কল্পনাপ্রবণ মন নিয়ে কোনো ফ্যান্টাসির রাজ্যে বাস করবেন না।

৪. তার থাকবে উদ্ভাবনী শক্তি। অবশ্য এর মানে এই নয়, তিনি অলীক কিছু উদ্ভাবন করবেন;

৫. তার নার্ভ খুব শক্ত হবে। কারণ তাঁকে কাজ করতে হবে যথেষ্ট প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে। ধরা যাক, যুদ্ধ-দাঙ্গা, দুর্ঘটনা এবং অফিসের প্রতিকূল পরিবেশ;

৬. তার কাজে ক্ষিপ্রতা থাকবে। কারণ তাঁকে নিদির্ষ্ট সময়ের  ভেতর কপি শেষ করতে হবে। প্রচণ্ড স্পিডে কাজ করার দক্ষতা  অর্জন না  করলে তিনি প্রফেশন থেকে হঠে যাবেন। তিনি হবেন নির্ভুল।তাঁর লেখা পড়বে অথবা শুনবে লক্ষ লক্ষ লোক। তথ্যগত ভুল থাকলে তিনি হাস্যাস্পদ হবেন। তাঁর প্রতি ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের  প্রতি আস্থা কমে যাবে। কাজেই তাকে প্রতিটি তথ্য লেখার সময় সতর্ক হতে হবে;

৭. তিনি হবেন সাহসী। যিনি ভীরু প্রকৃতির- সাংবাদিকতা তাঁর জন্য নয়। তার জীবনে বিপদ ও ঝুঁকি প্রচুর। সাহসের সঙ্গে তার মোকাবেলা করতে হবে। বহুলোককে চটাতে হবে, বহু প্রভাবশালীর বিরাগভাজন হতে হবে। কিন্তু তাতে ভয় পেলে চলবে না;

৮. তাকে সহনশীল হতে হবে। সহ্য করতে হবে দৈহিক অত্যাচার। অসময়ে খাওয়া, অসময়ে নিদ্রা, ‘ভ্রমণং যত্র তত্র, শয়নং হট্টমন্দিরে’। এজন্য তার চাই উত্তম স্বাস্থ্য।

৯. তার চাই সংগঠন শক্তি। তিনি হবেন ব্যক্তিগত জীবনে একজন সুসংগঠিত মানুষ। পড়াশুনা,মেলামেশা, ব্যায়াম, মানসিক  বিনোদন,  কাজ ও গার্হস্থ্য জীবন এ সমস্ত কিছুর মধ্যে সমন্বয় করবেন তিনি। প্রফেশনাল জীবনেও তার চাই সংগঠন ক্ষমতা। তাকে কোনোকিছু হাতে তুলে দেবে না। তাকে স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে সবকিছু গুছিয়ে তুলতে হবে।

ধরুন, একজন ভিআইপি-র অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাওয়া- এ কাজটা তাকেই করে নিতে হবে। আবার একটি খবর করতে গেলে ১০-১২টি সূত্র থেকে তা’ সংগ্রহ করতে হবে। এ সব সূত্রের সংগে যোগাযোগ রাখা তারই দায়িত্ব। তিনি ফটোগ্রাফারকে নির্দেশ দেবেন। ডিসপ্লে সম্পর্কেও, প্রয়োজন হলে আলোচনা করবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ  কপি হলে প্রুফও দেখে দেবেন। শুধু তাই নয়, প্রকাশিত খবরের ‘ফলো-আপও তাকে করতে হবে;

১০.  তাকে ধৈর্যশীল হতে হবে। বার বার ব্যর্থ হলেও তাকে হাল ছাড়লে চলবে না। ‘পেলাম না’ বা‘হলো না’ অথবা ‘করতে পারলাম না’বলে সাংবাদিকদের অভিধানে কোনো শব্দ নেই;

১১. মানসিক সতর্কতা হবে তার সবচেয়ে বড় গুণ। আইনসভার কিংবা কোনো জনসভার অনেক ক্লান্তিকর একঘেঁয়ে ভাষণের মধ্যে হঠাৎ কোনো একটি মন্তব্য বা বক্তব্য সংবাদ হিসেবে অমূল্য হয়ে উঠতে পারে। অথবা যাতায়াতের পথে বাসে, ট্রেনে, প্লেনে এমন কী পথের মোড়ে হঠাৎ কোনো খবর জন্ম নিতে পারে;

১২. সাংবাদিককে সৎ হতে হবে। সাংবাদিকতার পথ পিচ্ছিল ও প্রলোভনের পথ। তাকে জয় করা ইন্দ্রিয় জয়ের চেয়েও কঠিন ও মহৎ;

১৩. নিয়মানুবর্তিতা তার আর এক গুণ। যেখানে প্রয়োজন ঠিক নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে তিনি হাজির হবেন। নচেৎ অন্যের মুখ থেকে শুনে বিবরণ লিখলে তিনি অনেক কিছু ‘মিস’করবেন;

১৪. তাকে সব সময় সহাস্য বদন থাকতে হবে। সাংবাদিক তাঁর সরস ব্যক্তিত্বের দ্বারা সকলকে আকৃষ্ট করবেন। তিনি জীবন বিমুখ নন জীবনবাদী;

১৫. তার থাকবে পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা। সাংবাদিক এক বিশ্লেষণী ক্ষমতার অধিকারী হবেন। সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণ করে ভালোমন্দ উভয় দিক বিশ্লেষণের ক্ষমতার তাঁর সহজাত হওয়া উচিত;

১৬. সাংবাদিককে হতে হবে কূটবুদ্ধিসম্পন্ন। তিনি বুদ্ধিমান হবেন কিন্তু তাঁকে বহুক্ষেত্রে কুটিল হতে হবে। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সংবাদ সংগ্রহের জন্য প্রয়োজন মতো রণকৌশল বদল করতে হবে;

১৭.   তিনি একজন রসিক হবেন। অন্তত তার উঁচু দরের রসবোধ থাকা চাই;

১৮.  তার থাকা চাই মানিয়ে চলার ক্ষমতা। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে এবং বিভিন্ন অবস্থার সংগে তাকে মানিয়ে চলতে হবে;

১৯.  তাকে উদ্যোগী হতে হবে;

২০.  তাকে এমন ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলতে হবে, যাতে লোকে তাঁকে পছন্দ করে। অধ্যাপক কারটিস ম্যাকডোগাল-এর মতামতগুলো বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, একজন সত্যিকারের সাংবাদিককে কতখানি গুরুদায়িত্ব পালন করতে হয়! সত্যিকারের সাংবাদিকতা সত্যিই একটি কঠিন বিষয়!

এ ছাড়াও একজন সাংবাদিককে সবসময় নিজের বিবেকের কাছেও জবাবদিহি থাকতে হয়। বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থাকলে একজন সাংবাদিক তার সাংবাদিকতার দায়-দায়িত্ব নিতে সক্ষম হয়ে ওঠেন।

সাংবাদিকের অধিকার বলতেও একটা কথা আছে। সে অধিকার হচ্ছে, সত্য প্রকাশের অধিকার। সত্য প্রকাশে তিনি হবেন অবিচল! কিন্ত সাংবাদিক কি তথ্য গোপন করবেন? তথ্য বিকৃত করবেন? এক কথায় এর উত্তর হচ্ছে, নাহ্! তা’ তিনি পারেন না। সাংবাদিকতা একটি স্বাধীন পেশা। এ পেশা গ্রহণ করতে কোনো ধরনের ‘লাইসেন্স’-এর প্রয়োজন পড়ে না। তাই তথ্য বিকৃতি কিংবা তথ্য গোপন করার জন্য তার লাইসেন্স বাতিলের কোনো প্রশ্নই আসে না। কিন্তু একজন আইনজীবীর, ডাক্তারের তার পেশায় আসতে লাইসেন্স-এর দরকার পড়ে। একজন আইনজীবী কিংবা একজন ডাক্তার ভুল করলে,অভিযুক্ত হলে তার লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। লাইসেন্স লাগে না বলে. একজন সাংবাদিকের দায় অনেক বেশি। সমাজ তার কাছ থেকে অনেক বেশি দায়িত্বশীল আচরণ আশা করে। অধিকারের প্রশ্নে কখনো কখনো একজন সাংবাদিককে ‘সেল্ফ সেন্সরড্’(Self-censored) হতে হয়। সত্য প্রকাশে তাকে অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি ধৈর্যশীল এবং বস্তুনিষ্ঠ হতে হয়।

‘নৈতিকতা’? সেটি আরো অনেক বড় ব্যাপার! নৈতিকতা ছাড়া একজন সাংবাদিক সাংবাদিক হওয়ার যোগ্যতাই রাখেন না। সাংবাদিকের অস্ত্র- কলম। তিনি যা ইচ্ছা, তা-ই লিখতে পারেন। এ ব্যাপারে তিনি স্বাধীন! কিন্তু স্বাধীনতা মানে যথেচ্ছাচার নয়। তাকে দেশের আইন, সংস্কৃতি, রুচি মাথায় রেখে কলম ধরতে হয়। এর সাথে আরো একটা প্রশ্ন জড়িত। সেটি হচ্ছে, মানবিক বোধের বাইরে তিনি কিছুই করতে পারেন না। একজন মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষই কেবল সাংবাদিক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। এ ব্যাপারে প্রেস কাউন্সিল প্রণীত আচরণ বিধি উল্লেখ করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা এবং সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয় আচরণবিধি, ১৯৯৩ ( ২০০২ সালে সংশোধিত) প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট, ১৯৭৪-এর ১১ : (বি) ধারা অনুযায়ী সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা এবং সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয় আচরণ বিধিতে বলা হয়েছে-

১. জাতিসত্তা বিনাশী এবং দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা ও সংবিধান বিরোধী বা পরিপন্থী কোনো   সংবাদ অথবা ভাষ্য প্রকাশ না করা;

২. মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অর্জনকে সমুন্নত রাখা এবং এর বিরুদ্ধে প্রচারণা থেকে বিরত থাকা;

৩. জনগণকে আকর্ষণ করে অথবা তাদের ওপর প্রভাব ফেলে এমন বিষয়ে জনগণকে অবহিত রাখা একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব। জনগণের তথা সংবাদপত্রের পাঠকগণের ব্যক্তিগত অধিকার ও সংবেদনশীলতার প্রতি পূর্ণ সম্মানবোধসহ সংবাদ ও সংবাদভাষ্য রচনা ও প্রকাশ করা;

৪.  সংবাদপত্র ও সাংবাদিকের প্রাপ্ত তথ্যাবলির সত্যতা ও নির্ভুলতা নিশ্চিত করা;

৫.  বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য কোনোরূপ শাস্তির ঝুঁকি ছাড়াই জনস্বার্থে প্রকাশ করা। এ ধরনের জনস্বার্থে প্রকাশিত সংবাদ যদি সৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে থাকে এবং প্রাপ্ত তথ্য যৌক্তিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য বিবেচিত হয়, তবে এ ধরনের প্রকাশিত সংবাদ থেকে উদ্ভূত প্রতিকূল পরিণতি থেকে সাংবাদিককে রেহাই দেয়া;

৬.  গুজব ও অসমর্থিত প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে সেগুলোকে চিহ্নিত করা এবং যদি এ সব প্রকাশ করা অনুচিত বিবেচিত হয়, তবে সেগুলো প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকা;

৭.  যে সকল সংবাদের বিষয়বস্তু অসাধু এবং ভিত্তিহীন অথবা যেগুলোর প্রকাশনায় বিশ্বাস ভঙ্গের আশংকা আছে, সে সকল সংবাদ প্রকাশ না করা;

৮. সংবাদপত্র ও সাংবাদিক বিতর্র্কিত বিষয়ে নিজস্ব মতামত জোরালোভাবে ব্যক্ত করার অধিকার রাখেন, কিšত্ত এরূপ করতে গিয়ে :

(ক)       সত্য ঘটনা এবং মতামতকে পরিচ্ছন্নভাবে প্রকাশ করা;

(খ)       পাঠককে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে কোনো ঘটনাকে বিকৃত না করা;

(গ)        মূলভাষ্যে অথবা শিরোনামে কোনো সংবাদকে বিকৃত না করা বা

অসাধুভাবে চিহ্নিত না করা;

(ঘ)        মূল সংবাদের ওপর মতামত পরিচ্ছন্নভাবে তুলে ধরা।

৯.    কুৎসামূলক বা জনস্বার্থ পরিপন্থী না হলে বাহ্যত ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থবিরোধী হলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষ স্বাক্ষরিত যে কোনো বিজ্ঞাপন  সংবাদপত্রে প্রকাশের অধিকার সম্পাদকের আছে। কিন্তু এরূপ বিজ্ঞাপনের প্রতিবাদ করা হলে সম্পাদককে তা’ বিনা খরচে মুদ্রণের ব্যবস্থা করা;

১০.   ব্যক্তি অথবা সম্প্রদায়বিশেষ সম্পর্কে তাদের বর্ণ, গোত্র, জাতীয়তা, ধর্ম অথবা দেশগত বিষয় নিয়ে অবজ্ঞা বা মর্যাদা হানিকর বিষয়  প্রকাশ না করা। জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সাম্প্রদায়িকতাকে কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করা;

১১.   ব্যক্তিবিশেষ, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান অথবা কোনো জনগোষ্ঠী বা বিশেষ শ্রেণীর মানুষ সম্পর্কে তাদের স্বার্থ ও সুনামের ক্ষতিকর কোনো কিছু যদি সংবাদপত্র প্রকাশ করে তবে পক্ষপাতহীনতা ও সততার সাথে সংবাদপত্র বা সাংবাদিকের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান/ সংস্থাকে দ্রুত এবং সংগত সময়ের মধ্যে প্রতিবাদ বা উত্তর দেয়ার সুযোগ প্রদান;

১২.  প্রকাশিত সংবাদ যদি ক্ষতিকর হয় বা বস্তুনিষ্ঠ না হয়, তবে তা’ অবিলম্বে প্রত্যাহার, সংশোধন বা ব্যাখ্যা করা এবং ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষমা প্রার্থনা করা;

১৩.  জনগণকে আকর্ষণ করে অথচ জনস্বার্থ পরিপন্থী চাঞ্চল্যকর মুখরোচক কাহিনীর মাধ্যমে পত্রিকা কাটতির স্বার্থে রুচিহীন ও অশালীন সংবাদ এবং অনুরূপ ছবি পরিবেশন না করা;

১৪.  অপরাধ ও দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে সংবাদপত্রের যুক্তিসংগত পন্থা অবলম্বন করা;

১৫. অন্যান্য গণমাধ্যমের তুলনায় সংবাদপত্রের ব্যাপ্তি ও স্থায়িত্ব তুলনামূলকভাবে বেশি; এ কারণে যে সাংবাদিক সংবাদপত্রের জন্য লিখবেন তিনি সূত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা ও সংবাদের সত্যতা সম্পর্কে বিশেষভাবে সাবধান থাকা এবং ঝুঁকি এড়ানোর জন্য সূত্রসমূহ সংরক্ষণ করা;

১৬. কোনো অপরাধের ঘটনা বিচারাধীন থাকাকালীন সব পর্যায়ে তার খবর ছাপানো এবং মামলা বিষয়ক প্রকৃত চিত্র উদঘাটনের জন্য  আদালতের চূড়ান্ত রায় প্রকাশ করা সংবাদপত্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তবে বিচারাধীন মামলার রায় প্রভাবিত হতে পারে, এমন কোনো মন্তব্য বা মতামত প্রকাশ থেকে চূড়ান্ত ঘোষণার আগ পর্যন্ত সাংবাদিককে বিরত থাকা;

১৭. সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত পক্ষ বা পক্ষসমূহের প্রতিবাদ সংবাদপত্রটিতে সমগুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ছাপানো এবং সম্পাদক প্রতিবাদলিপির সম্পাদনাকালে এর চরিত্র পরিবর্তন না করা;

১৮.  সম্পাদকীয়ের কোনো ভুল তথ্যের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ যদি প্রতিবাদ করে, তবে সম্পাদকের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে একই পাতায় ভুল সংশোধন করে দুঃখ প্রকাশ করা;

১৯.  বিদ্বেষপূর্ণ কোনো খবর প্রকাশ না করা;

২০.  সম্পাদক কর্র্তৃক সংবাদপত্রের সকল প্রকাশনার পরিপূর্ণ দায়িত্ব স্বীকার করা;

২১.  কোনো দুর্নীতি বা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আর্থিক বা অন্য কোনো অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রতিবেদকের উচিত ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে সাধ্যমতো নিশ্চিত হওয়া এবং প্রতিবেদককে অবশ্যই খবরের ন্যায্যতা প্রতিপন্ন করার মতো যথেষ্ট তথ্য যোগাড় করা;

২২.  প্রতিবাদ হয়নি এমন দায়িত্বশীল প্রকাশনা খবরের উৎস হতে পারে, তবে পুনঃর্মুদ্রণ করা হয়েছে নিছক এই অজুহাতে কোনো  সাংবাদিক কোনো সাংবাদিকের কোনো খবর সম্পর্কে দায়িত্ব না এড়ানো;

২৩.  সমাজের নৈতিক মূল্যবোধের অধঃপতন তুলে ধরা সাংবাদিকের দায়িত্ব, তবে নারী-পুরুষ ঘটিত অথবা কোনো নারী সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে একজন সাংবাদিকের অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা;

২৪.  কোনো ব্যক্তি সংবাদপত্র, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকরূপে চাকরি গ্রহণকালে আচরণবিধির পরিশিষ্টে উল্লিখিত শপথনামা ‘ক’ সম্পাদকের সামনে পাঠ এবং স্বাক্ষরদান করতে বাধ্য থাকা;

২৫.  প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট, ১৯৭৪-এর ১১ (বি) ধারা অনুযায়ী সংবাদপত্র প্রকাশক আচরণবিধির পরিশিষ্টে উল্লিখিত শপথনামা ‘খ’ পাঠ ও স্বাক্ষর করতে বাধ্য থাকা।

আচরণ বিধি দ্বারা একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে। সেটি হচ্ছে, একজন সাংবাদিক ঘটনা দ্বারা প্রভাবিত হবেন না; কিন্তু ঘটনা সম্পর্কে তিনি সংবেদনশীল থাকবেন। নিজেকে একটি নিরপেক্ষ জায়গায় রেখে ঘটনাকে বিশ্লেষণ করবেন। ঘটনা বিচার করবেন যুক্তি ও কারণ দিয়ে; আবেগ দিয়ে নয়। তাকে মনে রাখতে হবে যে, কোনো কারণ ছাড়া কোনো ঘটনা ঘটে না। ঘটনার পেছনে অবশ্যই  কোনো না কোনো কারণ আছে। চোখের সামনে যা দেখছি, তা’ সত্যি নাও হতে পারে। কখনো কখনো বোঝার ভুলও হতে পারে। চুলচেরা বিশ্লেষণই একজন সাংবাদিককে সত্যসন্ধানী হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

 

আরো একটি কথা মনে রাখা দরকার। তা’ হচ্ছে, একজন সাংবাদিক কিন্তু বিশেষজ্ঞ নন। তিনি একজন বিশেষজ্ঞ এবং পাঠক-দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে সেতু বন্ধন করেন মাত্র। তবে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কাজ করতে করতে তার মধ্যে একধরনের ‘এক্সপারটাইজ ডেভেলপ’(Expertise Develop) করে। এজন্য অবশ্য একজন সাংবাদিককে অনেক বেশি সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি সচেতন হতে হয়। তাকে এ সব বিষয়ে প্রচুর পড়াশুনা করতে হয়। এ ছাড়াও দেশের আইনব্যবস্থা সম্পর্কেও তাকে সম্যক ধারণা রাখতে হয়।

সাংবাদিকতা করবো অথচ আইন সম্পর্কে কিছুই জানবো না, সংবিধান পড়বো না, তা’ হয় না।সাংবাদিকতা করতে গেলে প্রথমেই সংবিধানখানি পড়ে নিতে হয়। কোনো খবরে সংবিধান লংঘন হচ্ছে কিনা, আদালত অবমাননা হচ্ছে কিনা, কারো মানহানি ঘটাচ্ছি কিনা, তা’ লক্ষ রাখা দরকার। কারণ‘মানহানি’ নামে একটি শব্দ আছে, যার মুখোমুখি একজন সাংবাদিককে হওয়া লাগতে পারে। এ জন্য নিজেকে তৈরি রাখতে হয়। মানহানিকর খবর ছাপার আগে সেই খবরটি ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করতে হয়। তা’ না-হলে তাকে আইনের কাঠগোড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে। অসত্য, ভারসাম্যহীন এবং তথ্যবিকৃতির দায়ে তার সাজাও হতে পারে। তাই সাংবাদিকতা অনেক বড় দায়িত্বশীল পেশা। একে অন্যান্য পেশার মতো দেখার সুযোগ নেই।

অপরাধ প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে একজন সাংবাদিককে অনেকে বেশি সতর্ক থাকতে হয়। কারণ, একজন ব্যক্তি ‘অভিযুক্ত’ হলেই যে তিনি ‘অপরাধী’ হয়ে যাবেন, এমন কোনো কথা নেই। যতক্ষণ না আদালত তাকে ‘অপরাধী’ হিসেবে রায় দেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি ‘অভিযুক্ত’ হতে পারেন, কিন্তু ‘অপরাধী’নন। কখনো কখনো প্রকাশিত সংবাদে একজন অভিযুক্তকে ‘সন্ত্রাসী’,‘খুনি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।এটি কখনোই এভাবে উল্লেখ করা উচিত নয়। কারণ, আদালতের রায়ে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হতে পারেন। তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হলে, তিনি প্রকাশিত সংবাদকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। মানহানির মামলা করতে পারেন।

একজন সাংবাদিক কিন্তু পুলিশ নন। তাই তিনি কাউকে জেরা করতে পারেন না। তিনি শুধু ঘটনা সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন, কী হয়েছে, কীভাবে হয়েছে, তা’ তিনি কৌশলে জেনে নেবেন। কেন ঘটনাটি ঘটেছে কিংবা  কেন ঘটে নি, তা’ তার কৌতূহলী চোখ, সন্দেহপ্রবণ মন এবং বিশ্লেষণী যুক্তি দিয়ে বিচার করবেন। নিজেকে কখনো পুলিশের ভূমিকায় নামানো যাবে না। কখনো কখনো আমরা এই বড় ভুলটা করে ফেলি। এ ব্যাপারে সদা সতর্ক থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে তথ্য সংগ্রহ করার পদ্ধতি হিসেবে তিনি একেবারে সাধারণ মানুষের কাতারে মিশে যেতে পারেন, অনেকটা একজন গোয়েন্দার মতোই। কিন্তু তাকে মনে রাখতে হবে, তিনি গোয়েন্দা সংস্থায় চাকরি করছেন না; তিনি একজন সত্যসন্ধানী মানুষ! সত্যকে আলোয় আনাই তার কাজ! বরং তার সংবাদের সূত্র ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তদন্তের কোনো ধারা খুঁজে পেতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রেও বস্তুনিষ্ঠতার স্বাক্ষর রাখতে হবে।

 

ইদানিং মফস্বল সাংবাদিকতার ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিক জনগণ প্রত্যক্ষ করছেন। মফস্বল শহরে সাহসী সাংবাদিকতা করা সত্যিই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও অনেক সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকতা করে থাকেন। তিনি যাদের বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পাঠান, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সরাসরি তাদের গায়ে হাত তোলেন কিংবা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। কখনো কখনো জীবন বাঁচাতে সাংবাদিককে বাড়ি-ঘর পর্যন্ত ছাড়তে হয়। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ সরকারি কোনো কর্মকর্তা কিংবা প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী হয়ে থাকেন। তাদের দাপটে সৎ সাংবাদিককে সব সময় সতর্ক থাকতে হয়। অথচ তার কোনো নিরাপত্তাআইন প্রয়োগকারী সংস্থা কিংবা পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করতে পারে না।

ফলে তারা কী করবেন ভেবে পান না। হতাশায় ভোগেন। অন্যদিকে, কিছু সাংবাদিক আছেন যারা তাদের দায়িত্ববোধের কথা ভুলে যান। খবর প্রকাশের ভয় দেখিয়ে কারো কারো কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে থাকেন। তাদেরকে সাধারণ জনগণ সাংবাদিক না-বলে ‘সাংঘাতিক’ বলে অভিহিত করেন। এতে করে সৎ সাংবাদিকেরা বিব্রতবোধসহ লজ্জায় পড়ে যান। সাংবাদিকতার ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দৈনিকের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক চাঁদাবাজির অভিযোগে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। এ ব্যাপারে বিহিত করতে পারেন সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যমসহ স্থানীয় সাংবাদিকগণ। সাংবাদিকতাকে কোনোভাবেই প্রশ্নের মুখোমুখি করা যাবে না। এখনো এদেশের মানুষ সাংবাদিকদের শ্রদ্ধার চোখে দেখেন; এ কথা ভুলে যাওয়া উচিত হবে না।

পরিশেষে, বলতে চাই- একজন সাংবাদিকের কাজের ঝুঁকি অনেক। ঝুঁকি মাথায় নিয়েই একজন সাংবাদিককে কাজ করতে হয়। ঝুঁকি না-নিলে সৎ সাংবাদিকতা করা যায় না। একজন নির্ভীক সাংবাদিকই শেষ পর্যন্ত তার দায়-দায়িত্ব পালনে সক্ষম হন এবং তার লেখা/দেয়া সংবাদই এক সময় ইতিহাস তৈরি করতে পারে। ইতিহাস তৈরির দায়-দায়িত্ব-ই একজন সাংবাদিককে অধিকতর দায়িত্বশীল করে তুলতে পারে বলে সবাই বিশ্বাস করেন। একজন সাংবাদিককে অবশ্যই তা’ সব সময় মনে রাখতে হবে। পূর্বসূরীদের কাজ অন্তত সেই কথাই আমাদের মনে করিয়ে দেয়!!

লেখা শেষ করা যায় Jean Louis Servan –এর সেই উক্তি দিয়ে, যা আমাদের সাংবাদিকতার বিশাল দায়িত্বের কথা আবারও একবার গুরুত্বসহকারে মনে করিয়ে দেয় –

“And then , Professional adventure can turn into tragedy. Although not elected by the people, not serving in the army, not appointed to official missions, but doing their reporting job, Journalists are killed in all sorts of wars– Vietnam, Biafra, Algeria, Ireland.”

তথ্যসূত্র-

১. বিষয়: সাংবাদিকতা- পার্থ চট্টোপাধ্যায়- লিপিকা , কলকাতা, ৩য় সংস্করণ,

১৯৯০.

২.  মানুষ মাধ্যম ও যোগাযোগ- মূল- উইলবার শ্রাম, বাংলা একাডেমী, ঢাকা,

জুন, ১৯৯৩.

৩. প্রেস কাউন্সিল প্রণীত আচরণ বিধি.

প্রকাশ- বিজেআর (বাংলাদেশ জার্নালিজম রিভিউ),

২০০৮ সালে প্রকাশিত।

ঢাকা, ২৬ মে, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.