একাধিকবার আঙুলের ছাপে সতর্ক থাকুন

মে ২৫, ২০১৬

BTRCঢাকা জার্নাল: কোনো কোনো রিটেইলার একাধিকবার আঙুলের ছাপ নিয়ে গ্রাহকের অজান্তে একাধিক মোবাইল সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে আঙুলের ছাপ দেওয়ার সময় গ্রাহকদের এজন্য সতর্ক হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

গ্রাহকের অভিযোগ জানাতে শর্টকোড চালু ও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের সমসাময়িক অবস্থা তুলে ধরতে বুধবার (২৫ মে) বিটিআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খান, মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমদাদ উল বারী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইকবাল আহমেদ, সচিব সরওয়ার আলমসহ কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমদাদ উল বারী জানান, গ্রাহকের অসাবধানতার সুযোগ নিয়ে কোনো কোনো রিটেইলার বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার চেষ্টা করেছে।

গতমাসে আশুলিয়ায় এরকম একটি ঘটনা ছিল, একজন রিটেইলার গ্রাহকের অমনোযোগিতার সুযোগ নিয়ে একজনের বিপরীতে একাধিক সিম রি-রেজিস্ট্রেশন করে নিয়েছে, গ্রাহক খেয়াল করেন নি। বলেছে, আবার ছাপ দিন, মেলেনি। অথচ প্রতিবারই আঙুলের ছাপ মিলেছে। প্রতিবারই রিটেইলার আলাদা আলাদা নম্বর রি-রেজিস্ট্রেশন করেছে, গ্রাহক খেয়াল করেন নি।

এ ঘটনা আগেও ছিল, আগেও এমন অনেক সিম নিবন্ধিত হতো। কিন্তু আমরা ধরতে পারতাম না। এবার যেহেতু বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করা হচ্ছে, গ্রাহকের কাছে এসএমএস যাচ্ছে, এভাবে তিনি জানতে পারছেন যে তার নামে এতোগুলো সিম নিবন্ধন হয়েছে। তখন আমরা তাকে ধরতে পেরেছি।

বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে সঠিকভাবে নিবন্ধিত করা গেলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কার্যকরীভাবে ধরতে পারবে, সেটা এখন হচ্ছে। আগামী ৩১ মে’র পর এ ঘটনা থাকবে না বলে জানান বারী।

গ্রাহকের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যথেষ্ট গুরুত্বেও সঙ্গে বলতে চাই, কোনো সিস্টেম কার্যকর হবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত গ্রাহক সচেতন না হবেন।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর নতুন সংযোগ কেনা ও রি-রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে গ্রাহক পরিচয় নিশ্চিত করণের লক্ষে বায়োমেট্রিক্স ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করে সরকার।

এখন পর্যন্ত ছয়টি অপারেটরের ৯ কোটি ৭০ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪১টি সিম রি-ভেরিফিকেশন হয়েছে বলে জানান এমদাদ উল বারী।

আগামী ৩১ মে’র পর অনিবন্ধিত সিমগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, তবে পরবর্তী ২ মাস পর সিমগুলো আবারও কিনতে হবে গ্রাহকদের। আর প্রবাসীরা ১ জুন থেকে পরবর্তী ১৫ মাস সময় পাবেন রি-ভেরিফিকেশন করার।

১৫ মাসের মধ্যে কোনো গ্রাহক তার সিমটি ফের উত্তোলন না করলে অপারেটর আরও ৩ মাসের পাবলিক নোটিশ প্রদান সাপেক্ষে উক্ত মোবাইল নম্বরটি যে কারো কাছে বিক্রি করতে পারবেন।

বায়োমেট্রিক্স ভেরিফিকেশন পদ্ধতির পর আগামী জুন থেকে গ্রাহকদের জানানো হবে তার নামে কয়টি সিম রি-ভেরিফিকেশন হয়েছে।

ঢাকা জার্নাল, মে ২৫, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.