ডিএনএ প্রতিবেদন সঠিক মনে করেন তনুর বাবা-মা

মে ১৭, ২০১৬

tonuঢাকা জার্নাল : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর ডিএনএ প্রতিবেদনকে সঠিক মনে করছেন তার বাবা ও মা।

মঙ্গলবার (১৭ মে) সকালে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাইরে একটি রেস্টুরেন্টে বসে তারা সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এ সময় তারা খুনিদের বিচার দাবি করেন।

তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, আমি মেয়ে হত্যার দ্রুত বিচার চাই। আমার মেয়ে হাসতে হাসতে ঘর থেকে বের হয়েছিল। তারা (খুনিরা) আমার মেয়েকে আর বাড়ি ফিরতে দেয়নি। সরকার, সিআইডি ও দেশবাসীর কাছে আমি তনু হত্যার বিচার চাই।

তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, সিআইডি যে ডিএনএ রিপোর্ট দিয়েছে তার সঙ্গে আমি একমত। আসামি যেই হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।

এরআগে সকালে সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান আনুষ্ঠানিকভাবে তনুর ডিএনএ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। ওই প্রতিবেদনে তনুর কাপড়ে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

পরে সুপার ড. নাজমুল করিম খান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হয়েছি, তনু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। বেশকিছু তথ্য- উপাত্ত, মোবাইল ফোনের এসএমএস ও জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে আমরা আসামি শনাক্তের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি জানান, ডিএনএ প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে। এখন যত দ্রুত দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে, ততো দ্রুত এ মামলার অগ্রগতি দেশবাসীকে দেখানো যাবে।

গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি ঝোপ থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি পুলিশ ও ডিবি হয়ে পরে সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ডিবির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ মার্চ তনুর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত ও ডিএনএর জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর ৪ এপ্রিল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা জার্নাল, মে ১৭, ২০১৬

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.