প্রিয়াঙ্কার জীবনে ‘ডামাডোল’
এপ্রিল ৩, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল: ডামাডোল-এর মাঝেই ফেঁসে গিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। অবশ্য শুধু প্রিয়াঙ্কা একা নন, ডামাডোলের মধ্যে রয়েছেন অনিন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর গুঞ্জন দরিয়ানানি নামের দুই বালাও!
আসলে একেবারে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রেক্ষাগৃহে আসছে নতুন বাংলা ছবি ‘ডামাডোল’। সম্প্রতি শহরের একটি অভিজাত হোটেলে হয়েও গেল ‘ডামাডোল’-এর প্রেস কনফারেন্স। তা, ছবির নাম যখন ‘ডামাডোল’, তখন সেখানে কোনও ‘শোরগোল’ হবে না- তাও কি হয়! হলও তাই, মস্ত শোরগোলই পড়ল, যখন বৈঠকে এলেন না খোদ শাশ্বতই!
তা, প্রিয়াঙ্কার না-হয় তখন ছিল কাঁচা বয়স, বাড়ির ডামাডোলে নিজের প্রেমের ঢোল নিজেই ফাটিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু পাকা বয়সের তিন তিনটে হিরো অত সুন্দরী সুন্দরী হিরোইন থাকতে ‘ডামাডোল’ করতে করতে একটুও বেসামাল হয়নি শ্যুটিং-এ? একটু খোঁচা মারতেই মুখ খুললেন প্রযোজক অজয় ঝুনঝুনবালা, ‘ওরে বাবা! সে আর বলতে! শ্যুটিং চলাকালীন কার সঙ্গে যে কার কখন কী ডামাডোল চলছে- বুঝতে বুঝতেই নতুন কোনও ডামাডোল লেগে যেত। না বাবা, আর বলা ঠিক হবে না। ওদের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর না হয় বলব’, এটুকু বলেই পালিয়ে গেলেন অজয়।
আর নায়কেরা? সাহেব বা সমদর্শী বা রাজদীপ অবশ্য ও পথে গেলেনই না। বদলে তাঁরা কী বললেন? তাঁরা বললেন, ‘ডামাডোল দারুণ একটা সিচুয়েশনাল কমেডি ছবি। বাংলা ছবিতে এমন কমেডি খুব একটা হয়নি। আমরা একেবারেই জোর করে পেটে খিল দিয়ে হাসানোর চেষ্টা করিনি। ছবিটা দেখুন, ভাল লাগবে’।
এখন ‘ডামাডোল’ সত্যি সত্যিই দর্শকের মনে ঝড় তুলবে কি না, তা অবশ্য বোঝা যাবে ২২ ফেব্রুয়ারি। ওই দিনেই যে এই ছবির মুক্তি!
ঢাকা জার্নাল, মার্চ ৩, ২০১৩
সূত্র আনন্দবাজার পত্রিকা।