গোয়েন্দা হেফাজতে আসলাম চৌধুরী
মে ১৫, ২০১৬ ঢাকা জার্নাল : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে আনা হয়েছে। রোববার রাতে তাকে সেখানে আনা হয়।
এর আগে বিদেশ পালানোর সময় রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর কুড়িল-বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ড্রাইভারসহ আরো ২ জনকে আটক করা হয়।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাতে তাকে গোয়েন্দা হেফাজতে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সরকার উৎখাতে ইসরায়েলের সঙ্গে ‘ষড়যন্ত্রে’জড়িত বলে অভিযোগ আছে।’
সূত্র জানায়, তাকে গ্রেপ্তারের পর খিলক্ষেত থানা পুলিশ গোয়েন্দা পুলিশের মহাগনর উত্তরের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর তাকে রাত পৌনে ৯ টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে আনা হয়। তাদের কাছে তথ্য ছিল তিনি বিদেশ পালিয়ে যেতে পারেন। এরপরই বিমান বন্দর এবং আশপাশে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। একইসঙ্গে তথ্য ছিল তিনি চট্রগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে পালিয়ে যাবেন। পরে কুড়িল এলাকায় সাদা পোশাকের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে ঢাকার খিলক্ষেতে ৩০০ ফুট রাস্তা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযোগ আছে, বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব ভারতে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের মূল আলোচনায় ছিল কীভাবে ঢাকায় সরকারকে উৎখাত করা যায়। ওই বৈঠকের ছবি ও তথ্য পরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আসে।
সম্প্রতি আসলামের সঙ্গে ভারতে মেন্দি এন সাফাদির সেই সাক্ষাতের খবর ও ছবি প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে।
আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করছেন, শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে বিএনপি ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল এবং দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে মিলে ‘ষড়যন্ত্র’ করছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ইউসুফ এস রামাদান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দল যদি ইসরায়েলের কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি, দল কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে, তবে তা হবে তাদের রাজনৈতিক আত্মহত্যা।’
তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তার দলের সম্পর্ক নেই।
ঢাকা জার্নাল, মে ১৫, ২০১৬।