নিজামীর ফাঁসি কার্যকর

মে ১১, ২০১৬

nijamiঢাকা জার্নাল : ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে দেশের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীকে। মঙ্গলবার (১০ মে) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির মঞ্চে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হলো সে সময়কার ‘মইত্যা রাজাকার’ নামে পরিচিত নিজামীকে।

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন এই নিজামী।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড এবং হত্যা-গণহত্যা ও ধর্ষণসহ সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব) দায়ে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয় তাকে।

সেই দণ্ডই কার্যকর করা হলো মঙ্গলবার রাতে।

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর এটি হচ্ছে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার পঞ্চম ফাঁসির রায় কার্যকর, যার মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা হলো জামায়াতের আমির তথা শীর্ষনেতার। এর আগে ফাঁসি কার্যকর হওয়া অন্য চার শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে তিনজনই জামায়াতের এবং অন্যজন ছিলেন বিএনপির সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতা।

মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই নিজামীর মরদেহ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মন্মথপুর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে তার পরিবার-পরিজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বুধবার (১১ মে) ভোররাতে সেখানকার পারিবারিক কবরস্থানে তার নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে।

জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের (জমিয়তে তালাবা) নিখিল পাকিস্তান সভাপতি (নাজিমে আলা) হিসেবে নিজামী একাত্তরে ছিলেন আলবদর বাহিনীর সুপ্রিম কমান্ডার। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বিরোধিতাকারী জামায়াতের হয়ে তার নেতৃত্বেই বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ নৃশংসতম নারকীয় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করে এই বাহিনী। আর ফাঁসি হওয়া পর্যন্ত ছিলেন জামায়াতের আমির। হয়েছিলেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী।

একাত্তরের মূল ঘাতক ও জামায়াতের শীর্ষনেতা এবং সাবেক মন্ত্রীর ফাঁসি কার্যকরের ঘটনায় দেশের জন্য তাই রচিত হলো আরও একটি নতুন ইতিহাস।

ঢাকা জার্নাল, মে ১১, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.