সরকারি খাদ্যগুদামের ধারণক্ষমতা প্রায় ১৭ লাখ টন
এপ্রিল ২, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল: সরকারি খাদ্যগুদামের ধারণ ক্ষমতা দুই লাখ টন বেড়ে প্রায় ১৭ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। এ ধারণ ক্ষমতা শিঘ্রই ১৯ লাখ টনে উন্নীত হবে। খাদ্য মজুত ও অন্যান্য পরিস্থিতির বিবেচনায় বর্তমানে দেশে কোন খাদ্য ঘাটতি নেই। দীর্ঘকাল যাবত বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসেে পরিচিত ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে দেশে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে।
মঙ্গলাবার সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘রিজিওনাল ওয়ার্কশপ অন ইম্প্রুভিং গ্রেইন স্টোরেজ অ্যাট হাউসহোল্ড লেভেল ফর ফুড সিকিউরিটি ইন রুরাল এরিয়া’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খাদ্যমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে নন-ইউরিয়া সারের মূল্য কমানো, ডিজেলের ওপর ভর্তুকী, উন্নত জাতের বীজ সরবরাহসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। ফলে দেশে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে এবং বর্তমানে কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ৫ ভাগে উন্নীত হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বাজারে খাদ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন, একইসাথে প্রয়োজন সকল শ্রেণীর জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা বিধান করা। এজন্য সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় এক সময়ে মৌসূমী দুর্ভিক্ষ বা মঙ্গা দেখা দিলেও এখন আর সে অবস্থা নেই। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য ক্রয়ের সক্ষমতা বাড়াতে সরকার অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করে। ফলে তাদের জন্য খাদ্যপ্রাপ্তি সহজ হয়েছে। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের মজুত রাখা অত্যন্ত জটিল একটি বিষয়। কোন কোন ফসল সংরক্ষণ করা গেলেও পচনশীল ফসল সংরক্ষণ করা অত্যন্ত কঠিন ও ব্যয়বহুল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব ড. মিহির কান্তি মজুমদার, সিরডাপের মহাপরিচালক ড. সিসেফ ইফেন্ডি, পরিচালক হোসেইন শাহাবাজ প্রমুখ।
ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ২, ২০১৩