বিপাকে অমিতাভ-ঐশ্বরিয়া

এপ্রিল ৪, ২০১৬

Amitabh_Aishwariyaঢাকা জার্নাল: বলিউডে তিনি পরিচিত ‘বিগ বি’ নামে। ভক্ত থেকে শুরু করে তারকারা তাকে  আইডল হিসেবে মানেন। তার ভক্তের সংখ্যা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে রয়েছে বিদেশেও। ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন অমিতাভ বচ্চন।

কিন্তু অমিতাভের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, বিদেশি সংস্থার সাহায্যে নিজের সম্পদ বিদেশে লুকিয়ে রেখেছেন তিনি। একই অভিযোগ উঠেছে পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের বিরুদ্ধেও। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, মোজাক ফনসেকা নামে পানামার একটি সংস্থা বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের টাকা আইনের ফাঁক গলিয়ে গোপন করতে সাহায্য করে। যে সমস্ত দেশে করের হার কম সেখানে বিনিয়োগ দেখিয়ে ধনীদের সম্পদ গোপন করতে সাহায্য করে এই সংস্থা।

সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে এই সংস্থার প্রায় ১কোটি ১০ লাখ নথি। যাকে ‘পানামা পেপারস’ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। তাতে রয়েছে অন্তত ৫০০ জন ভারতীয়র নাম। এর মধ্যে রয়েছেন ‘বিগ বি’ অমিতাভ এবং ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের নামও।

ফাঁস হওয়া নথি থেকে জানা গেছে, ঐশ্বরিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের সংস্থায় অংশীদারিত্ব রয়েছে। গত তিন বছর ধরে এই দেশটি সম্পদ গচ্ছিত রাখার ওপর বিশেষ ছাড় দিচ্ছে। তবে পরিচয় গোপন রাখার জন্য নথিতে পুরো নাম লেখেনি সংস্থাটি। ঐশ্বরিয়া রাইয়ের নাম লেখা হয়েছে এ. রাই। অভিনেত্রীর বদলে তার পরিচয় কোথাও পরিচালক, কোথাও শেয়ারগ্রাহক হিসেবে দেখানো হয়েছে।

এদিকে অমিতাভ বচ্চনের  বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৯৯৫ সালে অমিতাভ বচ্চন কর্পোরেশন লিমিটেড তৈরির দু’বছর আগে চারটি বিদেশি শিপিং সংস্থার ডিরেক্টর নিযুক্ত হয়েছিলেন । সংস্থাগুলোর একটি ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড ও বাকিগুলি বাহামায় নথিভুক্ত ছিল।

কিন্তু ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের নির্দেশিকা অনুযায়ী ২০০৩ সাল পর্যন্ত কোনো ভারতীয় বিদেশি সংস্থার অংশীদারিত্বের অংশ হতে পারতেন না। পাশাপাশি বিদেশেও তারা কোনো সংস্থা তৈরি করতে পারতেন না।

তবে, ২০০৪ সালে আইনটি শিথিল করে রিজার্ভ ব্যাংক। বিদেশে শেয়ার কেনার অনুমতি দেওয়া হয় ভারতীয়দের। কিন্তু বিদেশে সংস্থা তৈরির ওপর নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ আছে। প্রশ্ন উঠেছে, অমিতাভ-ঐশ্বরিয়া কী তাহলে সকল আইন অমান্য করে এসব করেছেন?

কিছুদিন আগেই শোনা যায়, অমিতাভ বচ্চনকে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে প্রস্তাবের পরিকল্পনা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখন তার বিরুদ্ধে শোনা যাচ্ছে এমন অভিযোগ। এ বিষয়ে অমিতাভ এবং ঐশ্বরিয়ার কেউই এখনো কোনো বক্তব্য দেননি।

ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ০৪, ২০১৬।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.