শহীদ রুমী স্কোয়াডের ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি

মার্চ ৩১, ২০১৩

Shabag-sm3020130330094243ঢাকা জার্নাল: জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে আমরণ অনশনরতদের মধ্যে পাঁচজনকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে (বারডেম) ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদের মধ্যে সাদাত হোসেন নিলয়, রুবায়েত আদনান দ্বীপ ও শুভ্র মাহমুদ জ্যোতির অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তবে তাদের অবস্থা বর্তমানে কিছুটা উন্নতির দিকে বলে অনশনরতরা জানান। বাকি দুইজন মো. আলিফ প্রধান ও রায়হানকেও বারডেমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া মানিক সূত্রধরের শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটলে আগেই বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, অনশনস্থলেও একজনকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে বিকেল ৫টায় শাহবাগের অনশন স্থলের পাশে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সে সময় জানানো হয়, দিনকে দিন অনশনকারীদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলেও তাদের দাবিতে তারা অনড়।

এসময় বক্তব্য রাখেন শহীদ রুমী স্কোয়াড-এর মুখপাত্র সেঁজুতি শোণিত নদী ও সাদত হোসেন নিলয়। পরে নিলয়কেও বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নদী বলেন, “জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে আমরণ অনশনের ৯০তম ঘণ্টায় শাহবাগে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ‘শহীদ রুমী স্কোয়াড’। আর মাত্র ১০ ঘণ্টা পর আমাদের আমরণ অনশন ১০০ ঘণ্টায় পড়বে। তখন আমরা অনলাইনে প্রধানমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠি দেবো।”

তিনি বলেন, “খোলা চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যুদ্ধারপরাধী জঙ্গি দল জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ কী হবে এবং কবে নাগাদ শুরু হবে, তা স্পষ্টভাবে জানতে চাওয়া হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা আমাদের দাবিতে অনড় আছি এবং থাকবো। আমরা আমাদের দাবি অবিলম্বে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন চলতেই থাকবে।”
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে আমরণ অনশনের সমন্বয়ক সাদাত হোসেন নিলয় বলেন, “স্মারকলিপি দেওয়ার সময় জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক ডা. ইমরান এইচ সরকারের হাতে আমাদের প্রাণ তুলে দেবো। দেখি, তিনি আমাদের জন্য কী বার্তা নিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে!”

উল্লেখ্য, ৫ ফেব্রুয়ারি গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ২৬ মার্চের মধ্যে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। কিন্তু ২৬ মার্চের মধ্যে সরকার সে দাবি না পূরণ করায় সে দিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে ‘শহীদ রুমী স্কোয়াড’-এর সাত সদস্য আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন।

পরবর্তীতে অনশনকারীর সংখ্যা ১৪ জনে দাঁড়ায়। শুক্রবার তা ১৯ জনে উন্নীত হয় ও আজ শনিবার মোট অনশনকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২০ জনে।

এ ছাড়া শুক্রবার খুলনা প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩ শিক্ষার্থী একই দাবিতে অনশন শুরু করেন। শনিবার আরও ২ জন যু্ক্ত হলে বর্তমানে সেখানে ৫ জন আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

অপরদিকে, নেত্রকোনা জেলা শহীদ মিনারে ১০ তরুণ অনশন পালন করেন। তারা শিগগিরই ঢাকায় অনশনকারীদের সঙ্গে যু্ক্ত হবেন বলে জানা গেছে।

এছাড়া মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রের সবকটি স্টেটে শুক্রবার রাত ১২টা  থেকে টানা ১৪৪ ঘণ্টা অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন সেখানকার প্রবাসী বাঙালিরা।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ৩০, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.