হিমেল হত্যা মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড

মার্চ ৯, ২০১৬

Himel_ঢাকা জার্নাল: চট্টগ্রামে কিশোর হিমেল দাশ সুপেন হত্যা মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১০ মার্চ) চট্টগ্রামের দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সেলিম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি হলেন- মাহমুদুল ইসলাম, সুনীল দাশ, মিজুনার রহমান চৌধুরী, মো. হোসেন প্রকাশ সাগর, নজরুল ইসলাম প্রকাশ লাল মিয়া, মো. সেলিম। এদের মধ্যে কিশোর হিমেলের দূর সম্পর্কের চাচা সুনীল দাশসহ চারজন কারাগারে আছেন।  বাকি দুইজন পলাতক রয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পিপি অ্যাডভোকেট এম এ নাসের  জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় আদালত ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ৮ মে এসএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণার চারদিন আগে নিখোঁজ হয় চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র হিমেল দাশ সুপন। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে মাহমুদুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই নজরুল ইসলামের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে গিয়ে অপহৃত হন হিমেল।

১৩ মে হিমেলের মা পাপিয়া সেন বাদি হয়ে ডবলমুরিং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে যা মামলায় রূপান্তর হয়।  ১৪ মে বান্দরবানের দুর্গম নাগাঝিরি পাহাড় থেকে নগরীর ডবলমুরিং থানা পুলিশ হিমেলের লাশ উদ্ধার করে।

ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি মাহমুদুল ইসলাম ও তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম আদালতে জবানবন্দি দিয়ে জানান, হিমেলের চাচা সুনীল দাশের পরিকল্পনায় তাকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে।  সম্পত্তির লোভে সুনীল দাশ এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিল।

২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ছয়জনকে আসামি করে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১২ সালের ২৭ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭, ৮/৩০ ও দণ্ডবিধির ৩০২ ও ২০১ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগপত্রে ১৫ জনকে সাক্ষী করা হয়। অভিযোগ গঠন ও সাক্ষ্যগ্রহণের পর আদালত এ রায় দিয়েছেন।

হিমেল রেলওয়ে পুলিশের হিসাব বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা সুনীল কুমার দাশের ছেলে।  ২০০৭ সালে তার বাবা মারা যান।  তার মা পাপিয়া সেন পটিয়ার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।  তার বড় দুই বোন আছে।

অপহরণের চারদিন পর ১২ মে প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছিল হিমেল।  কিন্তু নিজের কৃতিত্বময় ফলাফলের কথা জেনে যেতে পারেনি হিমেল।  মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা চট্টগ্রামে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ০৯ , ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.