বিশ্বের ১১৮ দেশে রফতানি হচ্ছে পাটপণ্য

মার্চ ৮, ২০১৬

juteঢাকা জার্নাল: বহুমুখী পাটপণ্য বিশ্বের প্রায় ১১৮টি দেশে রফতানি হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিবেশবান্ধব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকায় বহুমুখী পাটপণ্যের খাতটি দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়নের ফলে স্থানীয় বাজারে পাটপণ্যের বিক্রি ও চাহিদা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশ পাট ও পাটপণ্য রফতানি বিশ্বে প্রথম ও পাট উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। জাতীয় রফতানি আয়ের শতকরা ৪ দশমিক ৯ ভাগ পাটখাত থেকে অর্জিত হচ্ছে। এই খাত রফতানি আয়ের বৃহত্তম খাতও বটে।

২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাসব্যাপী ৩ কোটি ৩৪ লাখ পাটের ব্যাগ বিক্রি হয়েছে এবং ব্যাগের বাৎসরিক চাহিদা ১০ কোটি ব্যাগ থেকে বেড়ে ৭০ কোটি ব্যাগে উন্নীত হয়েছে।

বর্তমানে পাটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এবং ভবিষ্যতে এ হার আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকায় পাট ও পাটপণ্য দেশের অর্থনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জিডিপিসি) এর তত্ত্বাবধানে পাটপণ্য বহুমুখীকরণের ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণের ফলে এ পর্যন্ত ২৫০ জন সফল উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। রাস্তা, বাঁধ, নদীতীর সংরক্ষণ কাজে ব্যবহৃত সিনথেটিক জিও টেক্সটাইল এর পরিবর্তে জুট জিও টেক্সটাইল ব্যবহার পরিবেশ সুরক্ষায় ও স্বল্প খরচে মাটির ক্ষয়রোধে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। ইতোমধ্যেই জুট জিও টেক্সটাইল সফলভাবে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করা হচ্ছে।

বিজেএমসি’র বছরে প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা মূল্যমানের জুট জিও টেক্সটাইল উৎপাদনে সক্ষম। বেসরকারি পাটকলগুলোও জুট জিও টেক্সটাইল উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। স্থানীয়ভাবে এলজিইডি, সড়ক ও সেতু বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, রেলপথ মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়ন কাজে বছরে ৭১৬ দশমিক ৫২ কোটি টাকার জেটজিটি ব্যবহারের চাহিদা রয়েছে।

উল্লেখ্য দেশে ধান, চালসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পরিবহণ, প্লাস্টিক ও পলিথিনের পরিবর্তে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহারের জন্য “পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০” প্রণীত হয়েছে। উক্ত আইনের ধারা-১৪ এ পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করে কৃত্রিম মোড়ক দিয়ে কোনো পণ্য বা পণ্যসামগ্রী মোড়কজাতকরণ, বিক্রয়, বিতরণ বা সরবরাহ করলে বা করবার অনুমতি প্রদান করলে অনুর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

তাছাড়া ধারা-১৫ এ উল্লিখিত অপরাধ পুনঃসংগঠনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডনীয় হবেন। আইন অনুযায়ী ছয়টি পণ্য অর্থাৎ ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। উক্ত আইনটি মোবাইল কোর্ট আইন এর তফসিলেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ঢাকা জার্নাল, ৮ মার্চ ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.