বিমানের সঙ্গে ড্রোনের সংঘর্ষে কী ঘটবে

মার্চ ৩, ২০১৬

droneঢাকা জার্নাল : ড্রোনের ব্যবহার বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে ড্রোনের ব্যবহার বিভিন্ন দেশে মাথাব্যাথার কারণ হয়েও দাড়িয়েছে। কেননা অনেকেই স্বউদ্যেগে ড্রোন তৈরি করে তা নানা নিষিদ্ধ অঞ্চলে ব্যবহার করছে। অনেক সময় ড্রোন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দূর্ঘটনার সৃষ্টি করছে।

তাই অনেক দেশই বিশেষ কিছু অঞ্চলে ব্যক্তিগত ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ড্রোনের সঙ্গে যদি যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষ হয়, তাহলে কী ঘটতে পারে, সেটার সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে গবেষণায় আগ্রহী ব্রিটিশ বিমান সংস্থা।

ড্রোন প্রসঙ্গে সতর্ক করে বিট্রিশ এয়ারওয়েজের পাইলট ও ফ্লাইটের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ স্টিভ ল্যান্ডয়েলস্ বলেন, ড্রোনের আঘাতে বিমানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পরার ঘটনা ঘটতে পারে, বিমানের ককপিটের স্ক্রিনও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের বিমান কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধানে দেখেছে, গত ৬ মাসে বিমান ও ড্রোন কাছাকাছি হওয়ার ২৩টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২টি এমন পর্যায়ে যাতে সংঘর্ষের গুরুতর ঝুঁকি ছিল।

স্টিভ ল্যান্ডয়েলস্ বলেন, বিমানের সঙ্গে পাখির সংঘর্ষের ফলাফল আমাদের জানা। কিন্তু ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষে কী ধরনের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে, সেই ভয়ঙ্কর সত্যিটা অজানা। কেননা বড় লিথিয়াম ব্যাটারি চালিত ড্রোনের মতো পাখি অতটা শক্তিশালী নয়।

তার মতে, ড্রোন বিমানের ইঞ্জিন কোরে প্রবেশ করে তা বিকল করে দিতে পারে। ইঞ্জিন বিকল হলেই যে বিমান ক্রাশ করবে তা নয়। কেননা বিমান এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে একটি ইঞ্জিনের সাহায্যে তা চলবে। কিন্তু বিমানের টারবাইন ইঞ্জিনের মধ্যে যদি ড্রোনের প্রবেশ ঘটে, তাহলে এর ফলাফল খুব মারাত্মক কিছু হতে পারে। এছাড়া এমন হতে পারে যে, ড্রোনের শক্তিশালী ব্যাটারির ফলে বিমানের ককপিটের ওয়াইড স্ক্রিন ধ্বংসও হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের পরিবহন ও উৎপাদন বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা ফিলিপা ওল্ডহাম বলেন, বিমানের ওপর ড্রোনের আঘাতের ফলাফল এখন পর্যন্ত অজানা কিছু। কেননা ড্রোনের আকার, গতি, সংঘর্ষের স্থান-এরকম নানা বিষয়ে ওপর নির্ভর করে নানা কিছু ঘটতে পারে। ইঞ্জিন বিকল থেকে শুরু করে নানাভাবেই ড্রোনের আঘাতের ক্ষতিকারক প্রভাব বিমানে ঘটতে পারে।

স্টিভ ল্যান্ডয়েলস্ বলেন, বিমানের সঙ্গে ড্রোনের সংঘর্ষে কী ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে, তার প্রকৃত ফলাফল জানার জন্য পরীক্ষামূলক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ০৩, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.