রাজীব মণি দাসের উপন্যাস ‘এক পশলা বৃষ্টি’

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬

023২০১৬ অমর একুশে গ্রন্থমেলায় কথাসাহিত্যিক 022নাট্যকার ও গীতিকার রাজীব মণি দাসের ‘এক পশলা বৃষ্টি’ উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে দি ইউনির্ভাসেল একাডেমি। মেলায় বইটি ৪০১,৪০২, ৪০৩ নং স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। ব্যতিক্রমধর্মী উপন্যাসের বিষয়বস্তু সম্পর্কে রাজীব মণি দাস বললেন-
জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অনেক স্বপ্নময়। ভালোবাসা আছে বলেই পৃথিবীটা এত মধুময়। নীলা ও অভির সম্পর্কটা যেন সৃষ্টিকর্তা নিজ হাতে গড়েছেন।
ফুলের মতো পবিত্র তাদের দু’জনার ভালোবাসা। নীলার দুই বান্ধবী লাবণ্য ও অন্তরা ঈর্ষা করে অভিকে নিয়ে। নীলার খালাতো বোন শ্রাবণী অভিকে নিয়ে গেম খেলতে গিয়ে নিজেই প্রেমে পড়ে যায়। শ্রাবণী ও অভির বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রের কার্ড দেখে নীলা কিংকর্ত্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। অচেনা ঝড়ে নৌকার নাবিকের মতো দিশেহারা হয়ে উঠে। নীলার জীবনের স্বপ্নগুলো মুহূর্তের মধ্যে কাচের টুকরোর মতো ভেঙ্গে খ–বিখ- হয়ে যায়। রাতের আঁধারে নীলা আত্মহত্যা করতে গেলে এগিয়ে আসে লাবণ্য। বন্ধুত্বের কোনো সীমারেখা নেই, নেই কোনো বাধ্যবাধকতা। নীলাকে নিয়ে লাবণ্য চলে যায় তার মামার বাড়িতে। অভির স্মৃতিকে কোনোভাবেই মুছে ফেলতে পারছে না সে। লাবণ্য ও অন্তরা দু’জনে মিলে নীলাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে উৎফুল্ল রাখতে চলে যায় কক্সবাজারে। নীলা কোনো কিছুর মধ্যে প্রাণ খুঁজে পায় না, একমাত্র মৃত্যুই যেন তাকে শান্তনা দিতে পারে। সে আত্মহত্যা করলে কি পৃথিবী থেমে যাবে? তা তো হবার নয়। যে বাবা-মার জন্য সুন্দর এই ভুবনের আলো দেখতে পেয়েছে, আর সেই বাবা-মার থেকে কয়েক দিনের পরিচয়ের ভালোবাসার মানুষটা কখনো বড় হতে পারে না। বিয়েটা মানুষের জীবনে মূখ্য বিষয় নয়।
একদিন নীলা পাহাড়ি মানুষগুলোর মাঝে নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পায়। মনে জমে থাকা সব মেঘ দূর হয়ে যায়। অন্তরা ও লাবণ্যের সাথে কথা বলে এই পাহাড়ের মানুষগুলোর জন্য কিছু করতে চায় নীলা। এখন নীলার একটাই প্রত্যাশা সে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে।

এছাড়াও নরসিংদীতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারী কলেজ প্রাঙ্গলে চলছে অমর একুশে বইমেলা ২০১৬। ১. এক পশলা বৃষ্টি ২. তাহার জন্য আর কোনো চিন্তা নেই? ৩. বাবা, ৪. ব্যতিক্রমধর্মী সায়েন্স ফিকশন মি. ব্রেইন উপন্যাসগুলো পাওয়া যাচ্ছে যুগান্তর স্বজন সমাবেশ স্টলে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.