মাশরাফি জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬

binঢাকাজার্নাল: জাতিসংঘ থেকে তার সদস্যভুক্ত দেশগুলো থেকে শুভেচ্ছা দূত নিয়োগ করে থাকে। বাংলাদেশ থেকে জাতিসংঘের ক্রীড়া শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন টাইগারদের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

বল হাতে টাইগারদের পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দেওয়া মাশরাফি শুধু একজন বোলার হিসেবেই নন, ষোলো কোটি বাঙালির প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ২০১৪ সালের শেষের দিকে টাইগার দলের অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর থেকেই লাল-সবুজেরম জার্সিধারীদের একেবারেই বদলে দিয়েছেন তিনি।

হারের বৃত্ত থেকে দলকে টেনে বের করেছেন। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ মাশরাফির নেতৃত্বে উঠেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। যা টাইগারদের অভূতপূর্ব সাফল্য হিসেবে ধরা দেয়। শুধু তাই নয় ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফির হাত ধরে দেশের মাটিতে পাকিস্তান, ভারত, দাক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়েকে সিরিজ হারায় মুশফিক-সাকিব-তামিম-মুস্তাফিজরা।

এসবের পাশাপাশি ম্যাশের হাত ধরেই টাইগাররা প্রথমবারের মতো বিশ্ব ক্রিকেট র‌্যাংকিংয়ে সাত নম্বরে উঠে আসে। তার নেতৃত্বেই ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে বসতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে যাবে বাংলাদেশ।

এর আগে বছরের শুরুতে উইজডেন ইন্ডিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন মাশরাফি। প্রথমবার ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের (আইসিআরসি) আয়োজনে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শুভেচ্ছাদূত হয়েছিলেন তিনি। এবার হলেন জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত। জাতিসংঘের নতুন এই দূতকে এখন থেকে দেশিয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বিভিন্ন কল্যাণ ও সচেতনতামূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাবে।

এর আগে ২০১৩ সালে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, চলচিত্র অভিনেত্রী আরিফা জামান মৌসুমী ও জাদুশিল্পী জুয়েল আইচকে শুভেচ্ছা দূত করে ইউনিসেফ। ২০০৫ সালে ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল, হাবিবুল বাশার সুমন ও টেবিল টেনিস খেলোয়াড় জোবেরা রহমান লিনুকে শুভেচ্ছা দূত করেছিল সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ তার সদস্যভূক্ত দেশগুলোর মাঝে নির্দিষ্ট লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুভেচ্ছা দূত নিয়োগ করে থাকে। শুভেচ্ছা দূতের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নেতা, খেলোয়াড়, চলচ্চিত্র তারকা প্রমুখ পেশাজীবিদেরকে সম্পৃক্ত করা হয়। শান্তির বার্তাবাহক, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, এইচআইভি ও এইডস কর্মসূচি, পরিবেশ কার্যক্রম, ইউএনডিপি, ইউনেস্কো, ইউনোডিসি, ইউএনএফপিএ, মানবাধিকার কমিশন, ইউনিসেফ, ইউনিডো, ইউনিফেম, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রমূখ প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য শুভেচ্ছা দূত হিসেবে বিভিন্ন সময়ে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বকে নিয়োগ করে থাকে।

ঢাকা জার্নাল, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.