আ’লীগের দায়িত্ব নিতে চান মেয়র খোকন

ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৬

syed_khokhonঢাকা জার্নাল:ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সাঈদ খোকন এখন অপরিহার্য এক নাম। অবিভক্ত সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র বাবা মোহাম্মদ হানিফের সুযোগ্য ‍উত্তরসুরি হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতা দিন দিনই বাড়ছেই।

এরই মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়ে নিজের জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। মহানগর আওয়ামী লীগেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সাঈদ। এবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আরো বড় রাজনৈতিক দায়িত্ব গ্রহণের।

দলীয় সূত্র বলছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দায়িত্ব নিচ্ছেন সাঈদ খোকন। এই ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার নাম বেশ আগে থেকেই উচ্চারিত। সম্প্রতি এই বিষয়টি আরও জোরেসোরে উচ্চারিত হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে কারো কারো সাঈদ খোকনের ব্যাপারে আগ্রহও রয়েছে।  ঢাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সাঈদ খোকনের পরিবারের রয়েছেদীর্ঘ দিনের প্রভাব।
ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকনের বাবা মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কর্ণধার। বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য ও ঘণিষ্ঠ ছিলেন মোহাম্মদ হানিফ। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনারও আস্থাভাজন ছিলেন।
মোহাম্মদ হানিফ দীর্ঘ দিন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকায় আওয়ামী লীগকে সংগঠিত এবং আন্দোলন-সংগ্রামে আওয়ামী লীগকে অগ্রবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মোহাম্মদ হানিফের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো।
মোহাম্মদ হানিফ শুধু রাজনৈতিক সংগঠকই নন, তিনি অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনে সরাসরি ভোটে প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন।
১৯৯১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটার বিহীন নির্বাচনে ক্ষমতায় আসা বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে তোলা দুর্বার আন্দোলনে অন্যতম সংগঠক ছিলেন সাঈদ খোকনের বাবা মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। তিনি ঢাকায় জনতার মঞ্চ গড়ে তুলে আন্দোলনকে দুর্বার রূপ দেন। এক পর্যায়ে বিএনপি সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন মোহাম্মদ হানিফ। দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে তিনি জীবন বাজি রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন রক্ষার চেষ্টা করেন। ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা থেকে দলের নেত্রীকে রক্ষার জন্য মানব বর্ম তৈরি করে আগলে রাখেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত চার দলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাজপথে সোচ্চার ছিলেন মোহাম্মদ হানিফ। ২০০৬ সালে ঢাকার মুক্তাঙ্গনে আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে বক্তৃতার সময় মোহাম্মদ হানিফ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর কিছু দিন পরই তিনি মারা যান।
আওয়ামী লীগে সাঈদ খোকনের বাবা মোহাম্মদ হানিফের অবদান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে সর্বস্তরে স্মরণীয়। পুরান ঢাকার প্রভাবশালী সরদার পরিবারের সন্তান হিসেবেও সাঈদ খোকনের পরিচিতি রয়েছে।
গত বছর অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সদ্য প্রয়াত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজও সরদার পরিবার থেকে এসেছিলেন। তার সঙ্গে সাঈদ খোকনের ঘনিষ্ঠতা ছিলেন। তরুণ উদীয়মান নেতা হিসেবে ইতোমধ্যেই সাঈদ খোকন পরিচিতি পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাকে স্নেহ করেন।ঢাকা জার্নাল,৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.