১ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৮৫ হাজার

মার্চ ২৮, ২০১৩

studentsঢাকা জার্নাল: উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় এবার ৮৫ হাজার ৭৬৭ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে। এবার মোট ১০ লাখ ১২ হাজার ৫৮১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে।

আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এইচএসসি, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিম এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ভোকেশনাল/বিএম (বিজনেজ ম্যানেজমেন্ট) ও ডিআইবিএসে পরীক্ষা ১ এপ্রিল থেকে।

অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬২ জন ছাত্র এবং ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯১৯ জন ছাত্রী। এবার ছাত্রীর তুলনায় ছাত্রের সংখ্যা বেশি।

বৃহস্পতিবারসচিবালয়ে  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব তথ্য জানান।

গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৯ লাখ ২৬ হাজার ৮১৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার ২ হাজার ২৮৮ কেন্দ্রে ৭ হাজার ৮০৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে।

গতবারের চেয়ে এবার ২৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৯২টি পরীক্ষা কেন্দ্র বেড়েছে।

এবার এইচএসসিতে ৮ লাখ ২৩ হাজার ২৪১ জন, আলিমে ৮৮ হাজার ৭৭৯ জন, এইচএসসি বিএম/ভোকেশনালে ৯৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং ডিআইবিএসে ৪ হাজার ৬০৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেবে।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকার বাইরে এবার বিদেশের পাঁচটি কেন্দ্রে ১৬৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে।

গত বছর বাংলা প্রথম পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হ। এবার রসায়ন প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, পৌরনীতি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে।

আগামী ১ এপ্রিল থেকে ২৮ মে পর্ন্ত তত্ত্বীয় এবং ১ থেকে ১৪ জুন ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী আশা পোষণ করে বলেন, সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা হবে। সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হওয়ায় নকল করে পাস করারও কোন সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আগে শিক্ষার্থীদের নোট বই কিনতে হত। এখন বেশিরভাগ পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হওয়ায় শিক্ষার্থীদের আর নোট বই কেনার প্রয়োজন হয় না।

পরীক্ষা পদ্ধতি ভবিষতে আরো সংস্কার হওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা গ্রহণের সময় কমিয়ে আনতে হবে। এতে পরীক্ষার্থী, অভিভাবকেরা উপকৃত হবে।

এবারো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী, বুদ্ধি ও শ্রবণপ্রতিবন্ধীরা অন্য সময়ের মত এবাবো অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবেন বলে জানান মন্ত্রী।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোকে হরতাল না দেওয়ারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম, মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ার‌ম্যান আব্দুন নূরসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ২৮, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.