সমন্বিত প্রচারণা চালাবে ২০ দল

ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫

09ঢাকা: পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী দু’এক দিনের মধ্যে নিজেদের প্রার্থীর পক্ষে সমন্বিত প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।

শনিবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যে সব এলাকায় জোটের প্রার্থী নিয়ে সমস্যা রয়েছে, সেখানে স্থানীয় নেতারা আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পৌর নির্বাচন নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। প্রার্থী সমর্থনের ব্যাপারে ঐক্যমত হয়েছে।  দুয়েক দিনের মধ্যে ঐক্যমতের প্রার্থীদের পক্ষে ২০ দলের সমন্বিত প্রচারণা শুরু হবে। ইতোমধ্যে দিনাজপুরসহ কয়েক জায়গায় প্রচারণা শুরু হয়েছে।’

নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘অতীতে এ নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন থেকে সবগুলো নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আবার প্রমাণ হবে কমিশন কতটুকু নিরপেক্ষ, দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে কাজ করতে পারে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিয়ে অতীতে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের। আমরা দেখছি, নির্বাচন কমিশন সরকারি প্রভাবে নতি স্বীকার করছে। নাটোরসহ কয়েক জায়গায় মন্ত্রীসহ সরকার দলীয়রা নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছে।’

নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডে সরকার যেন হস্তক্ষেপ না করে- এমন আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে আমাদের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে যাবে।’

বিরোধী নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বিরোধী দলের প্রার্থীদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়েছে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে, ভোট দেয়ার পরিবেশ তৈরি হলে আশা করি জনগণ গণতন্ত্রের পক্ষে ভোট দেবে।’

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব গোলাম মোস্তফা হায়দার চৌধুরী, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ,  খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহম্মেদ আব্দুল কাদের, জাগপা মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান, বিজেপির মহাসচিব আব্দুল মতিন, এনপিপির মহাসচিব  মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ডিএলের যুগ্ম-মহাসচিব খোকন চন্দ্র দাস, মুসলিম লীগের মহাসচিব অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের মহাসচিব সাঈদ আহমেদ, এনডিপির যুগ্ম-মহাসচিব ফরিদ উদ্দিন, জমিয়ত ইসলামীর মহাসচিব মহিউদ্দিন ইকরাম, পিপলস লীগের মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহাবুব হোসেন, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ মেহেদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতাকে দেখা যায়নি।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.