সংলাপ: হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রুল জারি

মার্চ ২৭, ২০১৩

3c37eb1d1972eefed95e320ef1f7d004_xlargeঢাকা জার্নাল: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সংসদের ভেতরে ও বাইরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং তাদের নেতৃত্বাধীন জোটের মধ্যে সংলাপের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

এক আইনজীবীর করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের অবকাশকালীন বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেন।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং স্বরাষ্ট্র সচিবসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ও রিটকারী ইউনুস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ গত ১৪ মার্চ এই রিট আবেদন করেন।

‘রাজনৈতিক সংকট’ কাটাতে এবং আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য নির্দেশনা দিতে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মুখোমুখি অবস্থান ত্যাগ করে দুই নেত্রীকে নিয়ে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে কেন র্নিদশনা দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল চাওয়া হয় ইউনুস আলীর রিটে।

শুনানিতে ইউনুস আলী বলেন, “সাম্প্রতিক দিনগুলোতে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশের মানুষের স্বার্থে এবং আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক দলগুলোর মুখোমুখি অবস্থান ত্যাগ করে দুই নেত্রীকে নিয়ে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে নির্দেশনা প্রয়োজন।”

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করার পর থেকেই বিএনপি সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।

এই পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচন নিয়ে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মতপার্থক্য অবসানে কূটনীতিক ও ব্যবসায়ীরাও দুই নেত্রীকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সম্প্রতি বলেন, সংলাপে তার দলের আপত্তি নেই, তবে বিএনপিকে আলোচনায় আসতে হবে শর্ত ছাড়া।

অন্যদিকে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন।

ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের এই পাল্টাপাল্টির বক্তব্যের মধ্যে গত ৯ মার্চ নাজমুল হুদা বলেন, কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই আগামী নির্বাচন নিয়ে বড় দুই দলের আলোচনায় বসা উচিৎ।

বিএনপিতে থাকার সময়েও দুই নেত্রীকে এক মঞ্চে আনার পক্ষে কথা বলে দলের ভিতরে বাইরে আলোচিত-সমালোচিত হন হুদা।

পরে বিএনপি থেকে বেরিয়ে গিয়ে নতুন দল করলেও সম্প্রতি সেখান থেকেও বহিষ্কৃত হন এই আইনজীবী।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.