এক পরিচয়পত্রে ১০ সিম

ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫

04ঢাকা: একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে  সর্বোচ্চ ১০ টি মোবাইল সিম রাখা যাবে। সোমবার গণভবনে অনুষ্ঠিত সরকারের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম  বলেছিলেন, ‘সরকারেরর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত একটি এনআইডির বিপরীতে এক অপারেটরের সর্বোচ্চ ৫ সিম নিবন্ধন করা যাবে।’

অবৈধ সিমের মাধ্যমে সন্ত্রাস বন্ধেই এমন বিধি নিষেধ আসছে বলে জানিয়েছেন তারানা। আঙুলের ছাপ মিলিয়ে সিম নিবন্ধন শুরু হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর থেকে।

সূত্র জানিয়েছে, বিটিআরসি সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে, যাতে এনআইডি’র বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি মোবাইল সিম রাখার সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিম নিবন্ধনের তথ্য যাচাই করতে গিয়ে ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে আসে। গত অক্টোবরে এক সংবাদ সম্মেলনে তারানা জানিয়েছিলেন, যাচাই প্রক্রিয়া শুরুর পর প্রথম এক কোটি সিমের মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধিত সিম পাওয়া যায় মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি। এমনকি একটি ‘ভুয়া’জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম কেনার তথ্যও পাওয়া গেছে বলে তিনি তখন জানিয়েছিলেন।

এসব অবৈধ সিম নিবন্ধন রোধে সিম সংখ্যার সীমা বেঁধে দিতে বিটিআরসিকে একটি চিঠি দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। সেখানে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক এনআইডির বিপরীতে এক অপারেটরের সর্বোচ্চ সাতটি এবং সব মিলিয়ে ২৪টির বেশি সিম রাখার মতো নিয়ম করা যায় কিনা সে বিষয়ে বিটিআরটিসির পরামর্শ চাওয়া হয়।

বিষয়টি পর্যালোচনা করে বিটিআরসি জানায়, এক গ্রাহক সর্বোচ্চ ২০টি সিম এবং এক অপারেটররের সর্বোচ্চ পাঁচটি সিম রাখতে পারবে এমন বিধি করা যেতে পারে।

বর্তমানে দেশে রাষ্ট্রায়ত্ব অপারেটর টেলিটকসহ মোট ছয়টি অপারেটর মোবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে। বিটিআরসি’র সর্বশেষ তথ্য মতে দেশে মোবাইল সিমের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.