সাড়ে সাত লাখ মানুষকে সরিয়ে নিলো ইন্দোনেশিয়া

ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫

8ঢাকা: মৌসুমি ঝড় ‘মেলর’র আঘাতে সম্ভাব্য প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপকূল থেকে সাড়ে সাত লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত।

স্থানীয়ভাবে ‘নোনা’ নামে পরিচিত টাইফুনটির প্রভাবে ইতোমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।

ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে টাইফুন ‘মেলর’ স্থানীয় সময় সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) দিনের শেষভাগে উত্তরাঞ্চলীয় উপকূল সামারে আঘাত হানতে পারে। ইতোমধ্যে উপকূলের আশেপাশে এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে।

ইতোমধ্যে ক্যাটাগরি ৩ টাইফুনে পরিণত হওয়া মেলর’র প্রভাবে অভ্যন্তরীণ রুটে ৪০টি ফ্লাইট গ্রাউন্ড করা হয়েছে। এছাড়া ৭৩টি ফেরি ও কয়েকশ’ মাছ ধরার নৌকাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।

২০১৩ সালে দেশটিতে আঘাত হানা ক্যাটাগরি ৫ টাইফুন ‘হাইয়ান’র গতিপথ ধরে এগুচ্ছে ‘মেলর’। হাইয়ানের আঘাতে ওই সময় ৮ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়। নিখোঁজ হন বহু মানুষ।

আকুওয়েদারের আবহাওয়াবিদ অ্যাডাম দৌতি বলেন, শক্তি সঞ্চয় করে পরিণত হয়ে এগুচ্ছে টাইফুন মেলর। এর প্রভাবে মূলকেন্দ্র থেকে দূরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশান অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিলের এক্সকিউটিভ ডিরেক্টের আলেকজান্দ্রার পামা বলেন, টাইফুনের আঘাতে সৃষ্ট বর্ষণে বন্যা, ভূমিধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে সঙ্গে বিদ্যু ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষতিও হতে পারে।

প্রতি বছরে কমপক্ষে ২০টি বড় ধরনের ঝড়ের কবলে পড়তে হয় ইন্দোনেশিয়াকে।

ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.