মান্নার মুক্তি দাবিতে ৫৯ বিশিষ্টজন-রাজনীতিকের বিবৃতি

ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫

1ঢাকা: নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন দেশের ৫৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনীতিক।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শহীদুল্লাহ্ কায়সারের পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, মান্না চাকসুর জিএস, ডাকসুর দু’বারের ভিপি এবং একজন সুপরিচিত রাজনীতিবিদ। কলাম লেখক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও এক সময়ের ছাত্রনেতা মান্নার গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চায় আপসহীন ভূমিকার কথা কারও অজানা নয়। তাকে আটক করে মানসিক নির্যাতন চালানো হয়।

বিবৃতিতে মান্না অসুস্থ রয়েছেন দাবি করে এ নিয়ে উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে বলা হয়, প্রায় নয় মাসের অধিক সময় মান্না কারগারে ‘বিনা বিচারে’ আটক রয়েছেন। তাকে ডিভিশন দেওয়া হয়নি, জামিনও দেয়া হচ্ছে না।

মান্নাকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন ও ’সুবিচারের সুযোগ’ দেওয়ার জোর দাবিও জানানো হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সুজনের সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরউল্যাহ্ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আকরাম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, সিপিবির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হায়দর আকবর খান রনো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম ফজলুল হক, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ডাকসু’র সাবেক ভিপি ও সংসদ সদস্য সুলতান মহাম্মদ মনসুর আহামদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, ইস্টার্ন ইউনিভারসিটির সাবেক উপাচার্য্য অধ্যাপক ড. নূরুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দিলার চৌধুরী, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস, সাংবাদিক আশরাফ কায়সার, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, আমজনতার দলের আহ্বায়ক প্রকৌশলী এম. ইনামুল হক, ফরোয়ার্ড পার্টির আহবায়ক আ ব ম মোস্তফা আমিন, সাংবাদিক সালেহ উদ্দিন, সাংবাদিক ও কলাম লেখক মাহবুব কামাল, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিউদ্দিন, নদী-পানি গবেষক ও পরিবেশবিদ প্রকৌশলী ড. এস আই খান, গ্রিন ওয়াচের সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা বি এম কলিমউল্যাহ, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ হাবিবউল্যাহ চৌধুরী, নিউজ টুডে’র সিটি এডিটর বদিউল আলম, সাংবাদিক খায়রুল আলম বকুল, সাংবাদিক মাহবুব আলম, সামাজিক আন্দোলনের সমন্বয়ক সাবেক এমপি অধ্যাপক হুমায়ুন কবির হিরু, জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি এম এ গোফরান, মানবাধিকার ফেডারেশনের আহাবায়ক ড. শাহজাহান, এশিয়ান টিভির হেড কাস্টমার সার্ভিস এটিএম আবুল হাশেম মজুমদার, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলুল হক সরকার, নারায়ণগঞ্জ জেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, চাকসুর সাবেক ভিপি শামছুজ্জামান হিরা, চাকসুর সাবেক জিএস গোলাম জিলানী চৌধুরী, গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়জী, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. ইসহাক হোসেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, মানবাধিকারকর্মী নূরজাহান রূবী আমাতউল্যাহ্, মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন, সোনার বাংলা পার্টির সভাপতি শেখ আবদুন নূর, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশিদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান মিলু চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব বিএম নাজমুল হক, তৃণমূল জনতা পার্টির সভাপতি ডা. নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল বারাকাত দুলাল, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এনামুল হক, মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মাদ এ কাশেম ও শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ রোকেয়া রুমী।
ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.