“বাংলাদেশে এখন ভয়াবহ দুঃসময় বয়ে চলছে।

ডিসেম্বর ৯, ২০১৫

06ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বর্তমানে দেশে মানবাধিকার শূন্যের নিচে। এদেশে শুধুমাত্র বিরোধীদলের নেতাকর্মীরাই নয়, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, নারী, শিশুসহ কারো নিরাপত্তা নেই।

১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “আজও বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে মানুষ একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন, গোষ্ঠী, বর্ণ ও জাতিগত সংঘাতে অবলীলায় খুন ও গুপ্ত হত্যার শিকার হচ্ছে এবং অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।”

তিনি বলেন, “জাতিসংঘের সার্বজনীন ঘোষণায় বলা হয়েছে- বিশ্বের সব জাতির সব মানুষের মানবাধিকার সংরক্ষণের নিশ্চয়তা থাকতে হবে। কিন্তু দেশে দেশে নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শাসকরা জাতিসংঘের নির্দেশনাগুলোকে তাচ্ছিল্য করে নিজ দেশের জনগণের উপর চালিয়ে যাচ্ছে বর্বরোচিত আক্রমণ। শুধুমাত্র ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে ধরে রাখার জন্য জনমতকে অগ্রাহ্য করতে হয়, আর সেজন্য এসব গণবিরোধী শাসক গোষ্ঠী জনগণের মানবাধিকারের তোয়াক্কা করে না। সুতরাং দুঃশাসনের অচলায়তন তৈরী করতে গিয়ে তারা প্রতিবাদী জনগণের ওপর নামিয়ে আনে পৈশাচিক উৎপীড়ণ।”

খালেদা জিয়া বলেন, “যারা সত্য উচ্চারণ করতে চায়, তারা রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজীবিসহ নগরিক সমাজের যেই হোকনা কেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং কারাবাস, শারিরিকভাবে নির্যাতনসহ জখম এবং হত্যারও শিকার হতে হয়।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে এখন ভয়াবহ দুঃসময় বয়ে চলছে। ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পূর্বাপর বাংলাদেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। বর্তমান অবৈধ ক্ষমতাসীন জোট সীমাহীন রক্তপাত ও বেপরোয়া নিপীড়ন নির্যাতনের মধ্য দিয়ে জনগণের সকল গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করে নিয়েছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার মানবাধিকারের পরিপূরক।”

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “বর্তমানে দেশের মানুষের মানবাধিকার শূন্যের নিচে অবস্থান করছে। এদেশে শুধুমাত্র বিরোধীদলের নেতাকর্মীরাই নয়, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, নারী, শিশুসহ কারোরই কোনো নিরাপত্তা নাই। এদের অধিকাংশই গুম, গুপ্ত হত্যা এবং বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছেন। সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও দল নিরেপক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষক, টকশো আলোচকদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে এবং কাউকে কাউকে  কারান্তরীণও করে রাখা হয়েছে।”

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.