সাইবার হামলাতেও এগিয়ে উত্তর কোরিয়া

মার্চ ২৬, ২০১৩

CYBER-ATTACKঢাকা জার্নাল: শুধু ক্ষেপণাস্ত্র বা পরমাণু বোমা নয়, উত্তর কোরিয়া বৈরি মনোভাব দেখাচ্ছে সাইবারস্পেসেও৷ গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার উপর সাইবার হামলার পেছনে পিয়ং ইয়ং ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷

সাইবার হামলা প্রমাণ করা মোটেই সহজ কাজ নয়৷ উত্তর কোরিয়ার সাধারণ মানুষ ইন্টারনেটের নাগালের বাইরে৷ অতএব হ্যাকিং করার ক্ষমতা শুধু রাষ্ট্রেরই রয়েছে৷ দক্ষিণ কোরিয়ার সন্দেহ, একদল কম্পিউটার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে এই সব হামলা চালানো হচ্ছে৷

গত বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ৩২,০০০ কম্পিউটার ও সার্ভার বন্ধ করে দিয়েছিল ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যার৷ দেশের তিনটি প্রধান টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ও তিনটি ব্যাংক এই হামলার শিকার হয়েছিল৷ তদন্তে এখনো স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় নি৷ এমনকি ম্যালওয়্যার-এর একটি উৎস ছিল খোদ সৌল শহরে একটি কম্পিউটার৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের তিনটি দেশের কম্পিউটার থেকেও নাকি হামলা হয়েছিল৷

তবে সকলেই জানে, হ্যাকাররা কীভাবে এমন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে৷ তাই সন্দেহের তির উত্তর কোরিয়ার দিকেই৷ ২০০৯ সাল থেকে দক্ষিণের উপর মোট ৬ বার সাইবার হামলা চালিয়েছে সে দেশ৷ এমন হামলা প্রতিহত করতে দক্ষিণ কোরিয়া একটি সাইবার নিরাপত্তা কমান্ড সেন্টার গঠন করেছে৷

তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে উত্তর কোরিয়ার আগ্রহ বেড়েই চলেছে৷ অর্থ, লোকবল ও ক্ষমতাও বাড়ছে৷ তারা ‘রেড স্টার’ নামে নিজস্ব এক অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেছে৷

সরকারের ঘনিষ্ঠ এলিট শ্রেণি চীনে তৈরি ট্যাবলেট কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে৷ অ্যামেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার সূত্র অনুযায়ী, একদল হ্যাকারকেও সাইবার হামলা চালানোর কাজে নিযুক্ত করেছে কিম জং উন-এর প্রশাসন৷

এই মুহূর্তে প্রায় ১,০০০ হ্যাকার তৎপর রয়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার ধারণা৷ তাদের মধ্যে অনেকেই নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র৷ অনেককে সাইবার হামলায় উচ্চশিক্ষার জন্য চীন বা রাশিয়ায় পাঠানো হয়৷

কোনো দেশের সরকার সাইবার হামলা চালালে পাল্টা হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারে না৷ উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা নেই বললেই চলে৷ কারণ সে দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার অত্যন্ত সীমিত৷ সম্প্রতি কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অনলাইন ব্যাংকিং শুরু করেছে৷ ডেবিট কার্ডের ব্যবহারও বাড়ছে৷

তবে এত কম মানুষ সেই সব পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, যে উত্তর কোরিয়ার ক্ষতির আশঙ্কা খুবই কম৷ সূত্র:ওয়েবসাইট

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.