কারাবন্দীর অধিকার

মার্চ ২৫, ২০১৩

Jail20130323022221ঢাকা জার্নাল: বিচার ব্যবস্থার একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে আদালতের দ্বারা ঘোষিত শাস্তি কার্যকর করার জন্য কারা ব্যবস্থাপনা। অপরাধী ব্যক্তিকে সমাজে পুন:প্রতিষ্ঠিত করাই কারা ব্যবস্থাপনার মুখ্য উদ্দেশ্য।

কিন্তু কারাগারের অব্যবস্থাপনার কারণে আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই উদ্দেশ্য ব্যহত হচ্ছে।

কারাবন্দীর সংখ্যাধিক্য, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, খাদ্য মানের অভাব, পোষাক ও শয্যা সংকট, চিকিৎসা সেবা ও কারা পরীক্ষণের অপ্রতুলতা, কল্যাণমূলক পদক্ষেপ ও সংশোধন কার্যক্রমের ঘাটতি, নারী ও শিশু কারাবন্দীদের অপর্যাপ্ত সুরক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ সুবিধাসহ কারাগারে মানবেতর জীবন যাপনের ফলে একজন অপরাধী ব্যক্তি সংশোধনের চেয়ে আরো বেশী অপরাধ প্রবণ হয়ে পড়ে।

কারাবন্দীর সংখ্যাধিক্য

সাম্প্রতিক কালে কারাগারে কারাবন্দীর সংখ্যা বৃদ্ধির পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশে বর্তমানে ৬৮টি কারাগারে ৩৩,৫৭০ জন কারাবন্দী রাখার ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমানে কারাবন্দীর প্রকৃত সংখ্যা ৭০,৩৫০ জন, যা দ্বিগুণেরও বেশী।

তাদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ বন্দীর মামলা বিচারাধীন অর্থাৎ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে আটককৃত। প্রকৃত দোষী সাব্যস্ত কারাবন্দীর সংখ্যা এক তৃতীয়াংশেরও কম।

বিচারের জন্য অপেক্ষমাণ বিপুল সংখ্যক কারাবন্দীর কারণে মূলতঃ কারাগারে কারাবন্দীর সংখ্যাধিক্য ঘটে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ: কারাভ্যন্তরের পরিবেশ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং বন্দীদের জীবনযাত্রা মানসম্মত নয়।

ব্যাপক সংখ্যক বিচারাধীন বন্দী থাকায় কারাগারে জনসংখ্যাধিক্য হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ। কারাগারে দুই ধরনের আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। কক্ষ আবাসন ব্যবস্থা এবং সংলগ্ন ওর্য়াড বা ডরমেটরিতে আবাসন ব্যবস্থা।

কক্ষ আবাসন ব্যবস্থা বিশেষ শ্রেনীর কারাবন্দীদের কারাদণ্ড কার্যকরীকরণ, দোষ স্বীকার করা বন্দীদের অন্যদের নিকট থেকে বিচ্ছিন্ন রাখাসহ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের জন্য বরাদ্ধ করা হয়।

সংলগ্ন ওয়ার্ড সমূহ পেশাদারী অপরাধী, হত্যা অপরাধের বন্দী এবং তরুণ অপরাধীসহ সব ধরনের অপরাধীর জন্য ব্যবহৃত হয়।

ডরমেটরিতে অবস্থানরত কারাবন্দীরা একটি ডরমেটরিতে ১০০ থেকে ১৫০ জন একত্রে রাত্রি যাপন করে। মুক্ত হবার পর গুরুত্বর অপরাধে লিপ্ত হওয়ার বাসনায় আকস্মিক অপরাধ করা ব্যক্তি ও তরুণ অপরাধীরা সাধারণত কারাগারে দল গঠন করে থাকে। সে ক্ষেত্রে পেশাদার অপরাধীদের অবস্থান তাদেরকে প্রভাবিত করে থাকে। সে কারণে কারাগারগুলো অপরাধী তৈরীর আস্তানা হয়ে উঠছে।

তাছাড়া, মেঝেতে জায়গা বরাদ্ধ দেওয়ার বিষয়টি কারাগারে বাসস্থানের ক্ষেত্রে অনেক বেশী অব্যবস্থাপনার প্রমাণ দেয়। ডরমেটরির নিয়ম অনুসারে প্রত্যেক কারাবন্দী মেঝেতে ৩৬ বর্গফুট জায়গা লাভের অধিকারী। কিন্তু কারাবন্দীর সংখ্যাধিক্যের কারণে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য প্রাপ্তিসাধ্য/ প্রাপ্য জায়গার পরিমান ১৫ বর্গফুটে কমিয়ে এনেছে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওয়ার্ডে জায়গার ঘাটতি/ স্বল্পতার কারণে বন্দীদের পালাক্রমে ঘুমাতে হয়।

তবে কারা কর্মকর্তাদের আর্থিকভাবে খুশি করলে ঘুমানোর জন্য পর্যাপ্ত জায়গা বরাদ্ধ করা হয়। সর্বোপরি, কার্বন ডাই অক্সাইড, নিকোটিন, ঘাম ও ঢাকনাহীন মূত্রাগার থেকে গড়িয়ে আসা মল-মূত্রের গন্ধ কারা-জীবনকে দূর্বীসহ করে তোলে।

যা জনাকীর্ণ ওয়ার্ড সমূহে এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি করে।

এসব কারাগারে বন্দীদের আইনী অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার যন্ত্রণাদায়ক উদাহরণ।

খাদ্য

কারাবিধি অনুসারে সাধারণ বন্দীরা দৈনিক ২,৮০০ থেকে ৩,০০০ ক্যালরি খাদ্য পায়, যা জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি ইনস্টিটিউট কর্তৃক সন্তোষজনক বলে গণ্য হয়েছে।

তবে তথাকথিত বিশেষ বন্দীরা কিছুটা অতিরিক্ত পরিমান খাদ্য পেয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবে কারা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে সরবরাহকৃত খাদ্যের অধিকাংশ প্রাপ্তি থেকে বন্দীরা বঞ্চিত হয়।

তবে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তিরা নিজ খরচে কারা ক্যান্টিন থেকে খাবার ক্রয় করে খেতে পারে। তদুপরি, বৃষ্টি কিংবা রোদে খোলা আকাশের নীচে মাটিতে বসে যে পদ্ধতিতে কারাবন্দীরা তাদের খাবার খায় তা সমর্থনযোগ্য নয়।

পোষাক ও শয্যা

সাধারণ কয়েদিদের পরিধেয় ডোরাকাটা মোটা কাপড়ের পোষাক তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেবার জন্য সর্বাপেক্ষা দায়ী।

২টি কম্বল দিয়ে কারাগারে একটি শয্যা তৈরী হয়, যার একটি মেঝেতে বিছানোর জন্য এবং অন্যটি বালিশ হিসেবে ব্যবহারের জন্য, যা একই সঙ্গে অপর্যাপ্ত ও মর্যাদা হানিকর।

এরূপ শয্যা ব্যবস্থা কারাবন্দীদের দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর এবং মানবাধিকার লংঘন হিসেবে বিবেচিত।

চিকিৎসা সেবা

সারাদেশের ৬৮ টি কারাগারের মধ্যে ৫৬টিতে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য কারা হাসপাতাল নেই। যদিও ১২ টি কারাগারে কারা হাসপাতাল রয়েছে, তবে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য কারা অধিদপ্তরের অধীনে কোন মেডিক্যাল কর্মী নেই।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে মেডিক্যাল কর্মী ধার নিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদানের ফলে অসুস্থ কারাবন্দীদের যথার্থ চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বর পশ্চাদপদতা সৃষ্টি হয়।

তাছাড়া কারা হাসপাতালগুলোতে কোন বেতনভুক্ত সেবক বা সেবিকা নেই। অল্প শিক্ষিত অপরাধীরা প্রশিক্ষণ ছাড়া হাসপাতালের সেবক-সেবিকা হিসেবে কাজ করে।

রাতের বেলা জরুরি পরিস্থিতিতে কাজ করার জন্য কোন চিকিৎসক নেই। তদুপরি কারাগারের জনসংখ্যা অনুযায়ী ডাক্তারের সংখ্যাও যথেষ্ট অপ্রতুল।

তাছাড়া, কারাগারে কোনরূপ প্যাথলজিক্যাল, রেডিওলজিক্যাল বা বায়োলজিক্যাল সুবিধা নেই।

একমাত্র কাশিমপুর মহিলা কারাগার ছাড়া কারাগারের মহিলা শাখায় মহিলা রোগীদের দেখাশোনার জন্য কোন মহিলা চিকিৎসক বা সেবিকা নেই।

পুরুষ চিকিৎসকরা মহিলা রোগীদের চিকিৎসা করেন। ফলে এসব মহিলা কারাবন্দীদের অনেক সময় সম্ভাব্য যৌন নিপীড়ন বা সহিংসতার ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়।

সংবিধানে প্রদত্ত নিশ্চয়তা অনুসারে যা গুরুতর নারী অধিকার লংঘন হিসেবে বিবেচিত।

যেসব কারাগারে কারা হাসপাতাল নেই, সেসব কারাগারে চিকিৎসা কেন্দ্র থাকলেও অধিকাংশ অসুস্থ কারাবন্দী সেসব কারা হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না।

বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর অপরাধী ও তথাকথিত ভিআইপি কারাবন্দীরা তাদের ক্ষমতা ও অবৈধ টাকার জোড়ে সেসব কারা হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্র দখল করে থাকে।

কারাগার পরিবীক্ষণ

কারাবিধির ভলিউম ১৩০ বিধি ৪৮ এর অধীনে জেলা মাজিস্ট্রেট এবং /বা সহকারী কর্মকর্তাদের সপ্তাহে একবার করে কারাগার সমূহ পরিদর্শন করে কারা ব্যবস্থাপনা যাচাই করার কথা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রায়শ: তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন।

ফলে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট বা বিচারকদের কাছে কারাবন্দীদের দুঃখ দুর্দশার কথাসমূহ তুলে ধরার অধিকার অগ্রাহ্য করে লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়।

তাছাড়া, কারা কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্পর্কে পরিদর্শন কর্মকর্তা ও পরিদর্শকের কাছে কাছে কারাবন্দীদের অভিযোগের ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিযোগকারী কারাবন্দীকে নির্যাতনসহ চরম দুর্ব্যবহারের সম্মুখীন হতে হয়,যা কারা পরিস্থিতিকে আরো বেশী রকম দুর্বিসহ করে তোলে।

সে কারণে বর্তমানে খুব কম সংখ্যক কারাবন্দী পরিদর্শন কর্মকর্তা ও পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ জানাতে সাহস পায়।

কল্যাণমূলক পদক্ষেপ ও সংশোধন কার্যক্রম: কারাবন্দীদের মঙ্গলার্থে সেবামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না বললেই চলে।

কারাভ্যন্তরে অবকাঠামোগত বিষয়গুলো যেমন: খাদ্য,বস্ত্র,চিকিৎসা সেবা, পয়:নিষ্কাশন ও পানি সরবরাহ ইত্যাদি পরীক্ষা করার জন্য কারাগারে কোন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সমাজ সেবা কর্মকর্তা নেই। কারাবন্দীদের মনস্তাত্বিক চাহিদা সমূহ পূরণের জন্য কোন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সমাজ কর্মী বা মনোচিকিৎসকও নেই।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের কারাগারে অপরাধীদের সংশোধন ও পুনর্বাসনের জন্য কোন কর্মসূচী নেই। এ বিষয়টি অপরাধ হাড় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে এবং অধিকাংশ অপরাধীই সংশোধিত ব্যক্তি হিসেবে বরং পেশাদার অপরাধী হিসেবে সমাজে প্রত্যাবর্তন করে।

নারী ও শিশু কারাবন্দীদের সুরক্ষা

পুরুষ, নারী ও শিশু কারাবন্দীদের একই কারাগারে আটক রাখার বিষয়টি নারী ও শিশুদের জন্য ক্ষতিকর, যারা খুব সহজে শারীরিক ও যৌন নিপীড়নের শিকার হতে পারে।

তাছাড়া, যেসব কারাগারে সব শ্রেণীর কারাবন্দীদের রাখা হয় সেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের দ্বারা শিশুদের চরিত্র ভীষণভাবে দূষিত হওয়ার সুযোগ থাকে।

বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ সুবিধা

কারাগারে প্রচলিত বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে রয়েছে বেতের কাজ, লন্ড্রির কাজ, উল, কাপড় ও কার্পেট বুনন। তবে সব শ্রেণীর অপরাধীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এইসব এই সব কার্যক্রম যথেষ্ট উন্নতমানের নয়।

দক্ষতার বিষয়টি বিবেচনা করা ছাড়াই জেলার কর্তৃক কারাবন্দীদের জন্য কার্যক্রম বরাদ্দ করা হয়।

সম্ভাব্য সমাধান

কারা ব্যবস্থাপনাকে সংশোধনমূলক করে কারাবন্দীদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্রিটিশ আমলে প্রণীত কারাগার সংক্রান্ত সকল আইন ও বিধিসমূহ সংশোধন করে আধুনিক ও কল্যাণমূলক করা প্রয়োজন।

তাছাড়া, কারাগার পরিদর্শনের জন্য একটি স্বাধীন ও সরকারের প্রভাবমুক্ত কারাপরিদর্শক দল গঠন করা প্রয়োজন। যারা স্বাধীনভাবে তাদের ইচ্ছানুযায়ী যে কোন কারাগার পরিদর্শন করে যেকোন কারাবন্দীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে পারবে এবং পরিদর্শনের ভিত্তিতে তারা রাষ্ট্র প্রধানের নিকট সুপারিশমালা পেশ করবে।

প্যারোল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কারাবন্দীদের মুক্তিদানের বিষয়টি কারা বিধিতে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। যেসব অপরাধী নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলবে তাদেরকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে সমাজে পুন:প্রতিষ্ঠিত হবার সুযোগ তৈরী করার জন্য কারা বিধিতে প্যারোলে মুক্তিদানের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

কারাভ্যন্তরে অব্যবস্থাপনা বিষয়ে অভিযোগ প্রক্রিয়া সংশোধন করে নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চুক্তির ঐচ্ছিক প্রোটোকল বা অপক্যাটে বর্ণিত প্রক্রিয়া অনুসরণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

কারাগারে বৃত্তিমূলক ও সংশোধনমূলক পরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে কারাগার অপরাধী তৈরীর কারখানা না হয়ে, তা সংশোধনাগারে পরিনত হয়।

এজন্য কারাবন্দীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিকল্প আয়ের সংস্থাপন পূর্বক সমাজে পুন:প্রতিষ্ঠিত করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

পাশাপাশি কারাবন্দীদের নিয়মিত কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে।

কারাবন্দীদের চিত্ত বিনোদনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে হবে। কারাবন্দীদের জন্য পর্যাপ্ত খেলাধুলার ব্যবস্থা, নিয়মিতভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনসহ কারাবন্দীদের দৈনিক সংবাদ পত্র পড়া ও টেলিভিশন দেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে। একই সাথে কারাবিধি অনুযায়ী কারাবন্দীদের খাদ্য প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

পাশাপাশি, কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আইন ও মানবাধিকার বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। সর্বোপরি, কারা চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারী বিভাগের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে কারা অধিদপ্তরের নিজস্ব চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা প্রচলন করতে হবে।

সেজন্য প্রতিটি কারাগারে কারা হাসপাতাল স্থাপন করে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, মহিলা চিকিৎসক, সেবক, সেবিকা, জরুরি সেবাদানকারী চিকিৎসকের ব্যবস্থা করতে হবে।

একই সাথে, কারা হাসপাতাল সমূহে প্যাথলজিক্যাল, রেডিওলজিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল সুবিধাদি সহজলভ্য করতে হবে এবং বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম সৈকত

লেখক: মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী ও সাংবাদিক; প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব, জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ; ইমেল: saikotbihr@gmail.com, ব্লগ: www.shahanur.blogspot.com

তথ্যসূত্র: www.banglanews24.com

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.