‘রায় হয়েছে, দ্রুত কার্যকর হোক’

নভেম্বর ১৮, ২০১৫

18চট্টগ্রাম: একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরীর ফাঁসির রায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক বহাল রাখায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকরা।
বুধবার সকালে চূড়ান্ত রায় প্রকাশের পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামবাসী কলঙ্কমুক্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা। একইসঙ্গে দ্রুত রায় কার্যকরেরও দাবি জানান তারা।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণজাগরণ মঞ্চের সদস্য সচিব ডা. চন্দন দাশ  বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের মূল সুর ছিল সকল যুদ্ধারপরাধীর ফাঁসি। এ রায়ের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, সাকার রায়কে ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, তামাশা করা হয়েছিল। এ রায়ের মধ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও নিগৃহীতরা তাদের বিচার পেয়েছে।  রায়ের জন্য সরকার ও বিচারকার্যে সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানান তিনি।

গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক শরীফ চৌহান বলেন, চট্টগ্রাম আজ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। ২০১৩ সালে সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম। ইতিমধ্যে অনেকের ফাঁসি হয়েছে। আজ দুইজনের চূড়ান্ত রায় হলো। এ রায়ের মধ্য দিয়ে একাত্তরের শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।

সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদস্য সচিব বেদারুল ইসলাম বেদার বলেন, সাকা-মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল থাকায় আনন্দ প্রকাশ করছি। এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে ছিল দেশবাসী। রায় প্রকাশের পর পুরো দেশবাসীর সঙ্গে চট্টগ্রামবাসীও আনন্দিত। এর মধ্য দিয়ে যে ক্ষত চিহ্ন ছিল তা মুছে গেছে।

কালক্ষেপণ না করে বিজয়ের মাসে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান তিনি।
প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান বলেন, এ রায়ে চট্টগ্রামের শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। বিজয়ের মাসে এ রায় কার্যকরের দাবি জানান তিনি।

একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও হত্যা-গণহত্যার দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরীর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে মুজাহিদ-সাকার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

নভেম্বর ১৮, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.