ধর্ষণের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে মা, কাঁদছে ছেলে

নভেম্বর ১৩, ২০১৫

11চট্টগ্রাম: ধর্ষককে গ্রেপ্তার এবং ধর্ষণের বিচারের আকুতি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নগরীর মোহরা এলাকার এক গৃহবধূ।   শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই নারী।  সংবাদ সম্মেলনে মাকে নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই গৃহবধূর যুবক বয়সী ছেলে।
নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে গৃহবধূ বলেন, ২০১১ সালে রোজার ঈদের আগে ধর্ষিতার ছেলের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে মোহরা এলাকার মো.আবছার, মো.জসিম উদ্দিন এবং মো.আলমগীর।  টাকা দিতে পারবেনা বল‍ায় তাকে মারধর করে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা।
‘রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার পথে আমার ছেলেকে মারধর করে দোকানের টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।  আমি কারণ জানতে চাইলে আলাউদ্দিন আমার গলা থেকে স্বর্ণের চেইন নিয়ে আমাকেও মারধর শুরু করে।  এসময় আমি আলাউদ্দিনের বড় ভাই জসিমের পায়ে পড়ি।  সে ফোন দিয়ে আরও লোকজন নিয়ে আসে।

‘তারা আমাকে ও আমার ছেলেকে টেনেহিঁচড়ে একটি ছয়তলা ভবনে নিয়ে যায়।  সেখানে ছেলে রাজিবকে বেঁধে আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। ’ বলেন ওই নারী।

সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী বলেন, ‘মামলা করার পরও দায়ীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।  আমরা গরীব বলে কি বিচার পাব না?’

তবে ওই নারীর দায়ের করা মামলার এজাহারে আবছার তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ধর্ষিতার ছেলে বলেন, ঘটনার পরদিন আমরা র‌্যাব অফিসে গেলে তারা মানবাধিকার সংগঠনে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।  এরপর আমার মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আমি চট্টগ্রাম হাসপাতালের ওয়ান স্টট ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করাই।  পুলিশ মামলা না নেয়ায় আমরা আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়।

ঘটনার সঙ্গে মো.জসিম উদ্দিন, মো.আবছার, আলমগীর, কাউছার, বাপ্পী, দিপঙ্কর, ইমাম হোমেন ও কাজী জড়িত বলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়েছে।  এদের কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও ওই নারী অভিযোগ করেন।

নভেম্বর ১৩, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.