পারমিতার প্রবাসে বাঙ্গলীয়ানা
অক্টোবর ৩০, ২০১৫ বৈশাখ কিংবা শরৎ। উৎসব মানেই বাঙ্গালীর উৎসব। আজকাল ধর্মীয় উৎসবও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের গণ্ডির মধ্যে আর সীমাবদ্ধ নেই। উৎসবপ্রিয় বাঙ্গালী ধর্মীয় উৎসবও পালন করছে সার্বজনিন উৎসব হিসেবেই। শুধু স্বদেশে নয় বিদেশেও।
বারো মাসে তের পার্বন এখন আগে গুণে গুণে, খুঁজে বের করতে হতো, এখন তার প্রয়োজন নেই তেইশ পার্বন পার করেও বাঙ্গলী আরো উৎসব চায়। বাঙ্গলীর এই উৎসব আর অতিথিপ্রিয়তা পৃথিবীর যেকোনো দেশের মানুষকেই হার মানায়।
বাঙ্গলীর উৎসব এখন আর দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। দেশের বাইরেও ছড়িয়ে গেছে প্রবাসী বাঙ্গালীদের কল্যাণে। বাঙ্গলীরা বিদেশে এখন উৎসব করে সবাই মিলেই।
উৎসবের আয়োজন না থাকলেও কেউ কেই বাঙ্গলী পোশাক পরে আনন্দে পার করছেন বাংলার উৎসব। তার তা দেশে বসে আমরা বাঙ্গলীরা দেখতে পাচ্ছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে।
উৎসব বৈশাখে উৎসব নেই, হচ্ছে না প্রবাসে, তাই বলে কি আনন্দ-উৎসব হবে না! নিশ্চয় হবে। কম পক্ষে বাঙ্গলী পোশাক পরে সারাদিন পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা আর ছবি তোলা। বেশ কিছু ছবি ফেসবুকে আপ করে দিলেই তো যারা সঙ্গে নেই, তাদের সঙ্গে আননন্দের ভাগাভাগি করা যায়।
এমন একজন প্রবাসী বাঙ্গলী নারী পূরবী পারমিতা বোস। অস্ট্রেলিয়ায়া থাকেন স্বামী-সন্তান নিয়ে। বিভিন্ন বাঙ্গলী উৎসবে মেতে থাকতে চান।
অস্ট্রেলিয়ার দেশি উৎসবেও যোগ দেন। তবে বৈশাখ কিংবা শরৎ উৎসব আসলেই শাড়ী পরে পুরো বাঙ্গলীয়ানায় নিজেকে তুলে ধরেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর নিজেকে বাঙ্গালীর উৎসবের একজন করে তুলে ধরতে শুধু উৎসবের দিনই নয়, সুযোগ পেলেই স্বপরিবারে জম্পেশ আড্ডা আর ছবি তোলার আনন্দে মেতে ওঠেন বাঙ্গালীর শ্বাসত পোশাকে। বৈশাখ, বসন্ত উৎসব, শরৎ উৎসব, শারদীয় উৎসব কোনটাই বাদ যায় না তার। ফেসবুক অ্যালবামে নববর্ষ, বসন্ত উৎসবের আনন্দ উচ্ছাসের ছবি রয়েছে আলাদা করে।
পূরবী শুধু বাঙ্গলী উৎসবেই নয়, অস্ট্রেলিয়ানদের উৎসবে, কিংবা বন্ধুদের কারো জন্মদিনেও শাড়ী পরেই অংশ নেন অনুষ্ঠানে।
শরত উৎসবে কথা হয় ঢাকা জার্নালের সঙ্গে পূরবী পারমিতা বোস বলেন, বৈশাখ ও শরৎ উসবসহ সব উৎসবের অংশ নিতে পারছিনা। বৈশাখে শাহবাগ কিংবা ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে শরৎ উৎসবে যোগ দিতে না পারার জন্য তার মন খারাপ হয়ে যায় উৎসবের দিনগুলোতে।
শুধু পূরবী পারমিতা বোষ নন, আর শুধু অস্ট্রেলিয়তেই নয়, বিভিন্ন দেশে
বাঙ্গলীরা এখন অনেক বেশি উৎসব প্রিয়। তার নিজের দেশের ভাষা-সংস্কৃতি সচেতনভাবে তুলে ধরছেন। সেদিন বোধ হয় ধুলে নয়। গোটা দুনিয়া ছড়িয়ে যাবে বাঙ্গলীর সংস্কৃতিই সেরা।
ঢাকা জার্নাল, অক্টোবর ৩০, ২০১৫।