যৌথ বাহিনীর ওপর জামায়াতের হামলা, নিহত ১

মার্চ ২১, ২০১৩

Bogra-.-Pic-1-05-11-12ঢাকা জার্নাল: ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরে আসামী ধরতে যাওয়া পুলিশ-র‍্যাব-বিজিবির যৌথ বাহিনীর ওপর জামায়াতে ইসলামী সমর্থকদের নেতৃত্বে গ্রামবাসী হামলা চালালে পুলিশের গুলিতে অন্তত একজন নিহত হয়েছে।

ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন জানিয়েছেন, আসামী ধরতে যাওয়া যৌথ বাহিনীকে জামায়াতের লোকজন মাইকে ডাকাত ঘোষণা দিয়ে এই হামলা চালায়। তখন আত্মরক্ষার্থে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়।

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িত আসামীদের ধরতে অভিযানে যাওয়া পুলিশের ওপর এরকম হামলা এর আগেও হয়েছে। তবে ঝিনাইদহের পুলিশ কর্মকর্তারা এবারের হামলাকে অনেক ‘ব্যাপক, এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে বর্ণনা করেছেন।

পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানিয়েছেন, যে এলাকায় পুলিশ আসামী ধরতে অভিযান চালায়, সেটি জামায়াতে ইসলামীর ‘শক্ত ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত। তাঁর ভাষায় ঝিনাইদহের মহেশপুরের ঐ অঞ্চলের আশিভাগ সমর্থকই জামায়াতের সমর্থক।

তিনি আরও জানান, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় জামায়াত কর্মীরা গ্রামের নারী-শিশুদের ‘ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করে।

উল্লেখ্য যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকরা বাংলাদেশের যেসব জেলায় সবচেয়ে বেশি সহিংসতা চালায় ঝিনাইদহ তার একটি।

পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানান, জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জামায়াত-শিবির সমর্থকরা এই জেলা সদর, হরিণাকুন্ডু এবং কোঁটচাঁদপুরে পুলিশ এবং সরকারী কর্মকর্তাদের ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল।

এসব হামলার আসামীদের ধরতেই তারা বুধবার মধ্যরাতে মহেশপুর উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে দরিয়াপুরে অভিযান চালান। নয়টি গাড়ীতে পুলিশ, র‍্যাব এবং বিজিবির প্রায় ৭০/৮০ জন সদস্য এই অভিযানে অংশ নেন।

তিনি জানান, চারজন আসামীকে গ্রেফতার করে ফিরে আসার সময় তারা দেখতে পান, গ্রামবাসীরা গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করেছে।

“পুলিশ যখন এসব সরাতে যায়, তখন গ্রামের মাইকে ঘোষণা দেয়া হয় যে ডাকাত পড়েছে। চারিদিক থেকে গ্রামবাসীরা এসে আমাদের ওপর হামলা চালাতে শুরু করে। তারা ব্যাপক হারে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তখন পুলিশকে গুলি চালাতে হয়।”

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.