আগামী ১৪ অক্টোবর পবিত্র হজ

মার্চ ২১, ২০১৩
imagesঢাকা জার্নাল: আগামী ১৪ অক্টোবার পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হজ পালনে এই সিদ্ধানের কথা জানায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। 
বৃহস্পতিবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ পালনের জন্য ২০১৩ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
ধর্মমন্ত্রণালয় জানায়, পবিত্র হজ পালনের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত হজ এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব গমন করা যাবে।
বাংলাদেশ থেকে এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১৭ হাজার ১৯৮ সর্বমোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমন করতে পারবেন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় গমনেচ্ছু হজযাত্রীগণের জন্য দুইটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। প্যাকেজ-১ খরচ হবে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ২৭ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ খরচ হবে ২ লাখ আটাত্তর হাজার সাতশত বিয়াল্লিশ টাকা।
এছাড়াও প্রত্যেক হজযাত্রীকে কোরবানি বাবদ ৪৫০ সৌদি রিয়াল সমপরিমাণ ৯ হাজার ৪৫০ টাকা পৃথকভাবে নিজ দায়িত্বে সঙ্গে নিতে হবে।
সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গমনেচ্ছু হজযাত্রীদের টাকা জমা দেয়ার শেষ দিন আগামী ৩০ মে। হজের আবেদন ফরম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দ্বীনি দাওয়াত বিভাগের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় তালিকাভুক্ত তেইশটি ব্যাংকের শাখাসমূহ এবং  হজ শাখা, কক্ষ নং-১০৩, ভবন নং-৮, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ও হজ অফিস, আশকোনা, থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
এছাড়াও www.hajj.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে ফরমপূরণ করে ডাউনলোড ও প্রিন্টআউট নিয়ে স্বাক্ষর করা আবেদন দাখিল করা যাবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, সরকার ঘোষিত ন্যূনতম প্যাকেজ মূল্য ২ লাখ ৭৮ হাজার ৭৪২ টাকার নিচে কোন এজেন্সি প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে না।
প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে হজযাত্রীর  সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ফরমে পৃথক চুক্তি স¤পাদন করতে হবে। হজ এজেন্সি ও হজযাত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স¤পাদন ছাড়া কোন এজেন্সি হজ বাবদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে না। এমনকি ভিসাও প্রক্রিয়াকরণ হবে না।
চুক্তির মূলকপি হজযাত্রীর নিকট, একটি অনুলিপি ঢাকার হজ অফিসে এবং অন্যটি হজ এজেন্সির নিকট সংরক্ষিত থাকবে।
উল্লেখ্য, বিগত পাঁচবছরে হজ করেছেন এমন ব্যক্তিদের এ বছর হজের অনুমতি দেয়া হবে না বলে সৌদি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। তবে মাহরামের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না।
মাহ্রাম ছাড়া মহিলা হজযাত্রী এককভাবে কোনভাবেই হজে যেতে যোগ্য বিবেচিত হবেন না। মহিলা হজযাত্রীদের মাহরামের  সঙ্গে একত্রে টাকা জমা দিতে হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড, সৌদি এয়ারলাইন্সসহ বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়য়ের অনুমোদিত এয়ারলাইন্স হজযাত্রী পরিবহণের দায়িত্ব পালন করবে।
সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীগণ হজের উদ্দেশ্যে যাত্রার তিনদিন আগে ঢাকার আশকোনা হজক্যাম্পে আসতে হবে।
বিমান কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা অনুযায়ী বিমানে কোন হজযাত্রী সর্বোচ্চ ৩২ কেজির বেশি মালামাল বহন করতে পারবেন না। রেজিস্টার্ড ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোন ঔষধ নিতে পারবেন না।
ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ কোন ক্রনিক ডিজিজের রোগীরা প্রেসক্রিপশনসহ ৫০ দিনের ঔষধ সঙ্গে নিয়ে যাবেন। সৌদি সরকার স্বীকৃত জমজম প্রজেক্ট’র সরবরাহ করা জমজম পানির গ্যালনই কেবল হজযাত্রীদের সঙ্গে নিতে পারবেন। সাধারণ গ্যালন বিমানবন্দরে গ্রহণযোগ্য হবে না ।
অতিরিক্ত কোন তথ্যাদি জানার প্রয়োজনে রিচালক, হজ অফিস, আশকোনা, উত্তরা, ঢাকা (ফোন-৮৯৫৮৪৬২, ৭৯১২৩৯১) এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে (ফোন-
৭১৬৩৬৭৮, ৯৫১২২৩৯, ৯৫১২২৩৮, ৭১৬০৩৯৭, ০১৭১৫০০৯৭৭১, ০১৭২০০১৭৩৭৭, ০১৭১৫১৯৩৩২৪, ০১৫৫২৪৪৫২৮০, ০১৭১১৮০৩৪৪১) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় এবং জেলায় অবস্থিত উপ-পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন  এর কার্যালয় থেকে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
ঢাকা জার্নাল, মার্চ ২০১৩

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.