সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার ৬ সূত্র জেনে রাখুন

অক্টোবর ১১, ২০১৫

16বিয়ের মতো সামাজিক বন্ধনও এখন আগের মতো দীর্ঘস্থায়ী হয় না। নানা জটিলতায় সম্পর্ক ভেঙে যায় দম্পতিদের। আর এক্ষেত্রে বিয়ে ভাঙার জন্য গবেষকরা দায়ী করেন আধুনিক জীবনের নানা বিষয়কে। তবে কয়েকটি বিষয় মেনে চললে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়া সম্ভব। এ লেখায় থাকছে তেমন কয়েকটি বিষয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
১. বিগ সি
বিবাহিত জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য বড় একটি পয়েন্টকে বিগ সি নামে অভিহিত করা হয়। এটি হলো কমিউনিকেশন (C — Communication) বা যোগাযোগ। দম্পতিদের একে অন্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকতে হবে, যা বিয়ে সফলভাবে টিকিয়ে রাখার অন্যতম বড় শর্ত। নিজেই যদি নিজের মতো করে চলেন আর অন্যের ধার না ধারেন তাহলে এ যোগাযোগে ঘাটতি তৈরি হবে। তাই নিজের প্রত্যেকটি কাজের বিষয়ে সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা প্রয়োজন। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে না।
সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার ৬ সূত্র জেনে রাখুন

 ২. মর্যাদা ও সম্মান
জীবনসঙ্গীকে যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান দিন। এতে আপনিও সম্মান পাবেন। আর উভয়ে উভয়কে সম্মান করলে আপনাদের বিবাহিত জীবনও হয়ে উঠবে মর্যাদাপূর্ণ। আপনি একজনকে বিয়ে করেছেন মানে এটা নয় যে, আপনি তার সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করবেন। তার একটি স্বাধীন মতামত রয়েছে, যা সব সময় বিবেচনা করতে হবে।
সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার ৬ সূত্র জেনে রাখুন৩. ছাড় দেওয়া
বিয়ে মানেই একে অপরকে ছাড় দেওয়া। বিবাহিত জীবন দুজন মানুষের একত্রে সামাজিকভাবে থাকার জন্য। আর দুজন মানুষ কখনোই একে অপরকে ছাড় না দিয়ে একত্রে থাকতে পারে না। ছাড় না দিয়ে আপনি যদি কোনো সিদ্ধান্ত একাই নিতে চান তাহলে বিবাহিত জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।
৪. অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা
টাকা-পয়সা অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। এক্ষেত্রে যে কোনো লুকোলুকি সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে। তাই আপনার আর্থিক বিষয় সম্পর্কে আপনার জীবনসঙ্গীকে জানিয়ে রাখুন।
৫. শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক
শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি বিষয়। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ। তাদের অসম্মান করা মানে আপনার জীবনসঙ্গীকেই অসম্মান করা।
৬. রোমান্সের কথা ভুলবেন না
বিবাহিত জীবনে একে অন্যের সঙ্গে রোমান্সের কথাটি ভুলে গেলে চলবে না। সন্তান, কাজ কিংবা অন্য যে কোনো ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, সঙ্গীর মানসিকতার দিকটিও মনে রাখতে হবে। সঙ্গীকে ঘরে ও বাইরে সময় দিতে ভুলে গেলে চলবে না।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.