হাল না ছেড়ে খেলা চালিয়েই যাবেন বেকহাম

মার্চ ২১, ২০১৩

David-Beckham-main_1667625aঢাকা জার্নাল:  ছয় বছর ধরে শুনছেন, ‘শেষ, শেষ, শেষ…’ কিন্তু ডেভিড বেকহাম বলছেন, ফুটবল তিনি ভালোবাসেন, তাই এখনি বিদায় বলার প্রশ্নই ওঠেনা৷ এবার কি তবে চীনে খেলবেন? এমন সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দেননি বেকহাম৷

ছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অনেক সাফল্যের নায়ক, দশ বছর আগে তাঁকেই রেয়াল মাদ্রিদে গিয়ে দাঁড়াতে হয়েছিল ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান, ব্রাজিলের রোনালডোর মতো তারকার পেছনে৷ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের সঙ্গে দ্বন্দ্বটা এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে ম্যান ইউ না ছেড়ে উপায়ও ছিলনা৷ রেয়ালে খুব বেশি কিছু করার সুযোগ পাননি৷

তখন থেকেই বেকহামের ক্যারিয়ারের ‘শেষ’ দেখা শুরু অনেকের৷ কিন্তু তখন তাঁরা যা ভেবেছেন, তা সত্যি হয়নি আজও৷ বেকহাম রেয়াল ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সিতে যোগ দিলেন ২০০৭ সালে৷ সেখানে ৬ বছর৷ শেষ দু বছর আবার স্পেনে না খেলে ধারে মোট ২৮টি ম্যাচ খেলেছেন ইটালির এসি মিলানের হয়ে৷ ‘আর কত, বয়সতো ৩৭ হয়ে গেল!’

এই ভেবে আবার যাঁরা পত্রিকায় ‘বিদায় বেকহাম’ শিরোনামের খবর পড়ার দিন গুনছিলেন, তাঁদের আবার ভুল প্রমাণ করে এ বছরের জানুয়ারিতেই বেকহাম অল্প কিছুদিনের জন্য গেলেন পারি সাঁ জার্মাঁ ক্লাবে৷

ফ্রান্সের ওই ক্লাবের সঙ্গেও চুক্তির মেয়াদ যখন শেষ হবার পথে, তখন ফ্যাশনদুরস্ত পোশাক, নতুন নতুন হেয়ার স্টাইল আর অঢেল সম্পদের জন্য বেশি আলোচিত এই ফুটবলারকে দেখা গেল নতুন ভূমিকায়৷

এবার চীনের সুপার লিগ (সিএসএল)-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর৷ সেখানে ফুটবল তো খুব অনুকূল পরিবেশে নেই৷ ব্যাপক দুর্নীতির কারণে সিএসএল-এর মোট ৩৩ জনকে আজীবন নিষিদ্ধ করার সম্ভাবনার কথা গত মাসেই জানা গেছে এক খবরে৷

বেকহাম গিয়ে কি এ দুর্দশা থেকে টেনে তুলতে পারবেন চীনের ফুটবলকে? পারবেন বলে আশা করা হয়েছে বলেই তো নেয়া হয়েছে তাঁকে?

তাহলে কি ফুটবল মাঠ ছেড়ে মাঠের বাইরের বিশেষ ভূমিকাতেই ব্যস্ত হবেন এখন? এক সংবাদ সম্মেলনে বেকহাম উড়িয়ে দিয়েছেন সেই সম্ভাবনা৷ জানিয়েছেন, চীনের কোনো ক্লাবের হয়ে খেলার সম্ভাবনা বাতিল করে দেয়ার সময় এখনো আসেনি৷

বয়স যা-ই হোক খেলতে তো ভালো লাগে, সুতরাং খেলবেন না কেন!

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.